ওই ঘটনার পর থেকে ১৬
বছর বয়সী ওই কিশোর নিখোঁজ রয়েছে বলে তার সৎ মায়ের অভিযোগ।
গলাচিপা থানার ওসি
এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নে গত সোমবার [৯ মে] এ ঘটনা ঘটে।
তিনি জানান, ওই ঘটনায়
ওই কিশোরের সৎ মা থানায় অভিযোগ করেছেন। শুক্রবার পুলিশ দুই নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার
করেছে।
ওসি শওকত আনোয়ার ইসলাম
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ওই কিশোরের বাবা ঢাকায় চাকরি করেন। আগের সংসারের
এই ছেলেকে নিয়ে সৎ মা তার বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। ঈদের আগে চিকিৎসার জন্য সৎ
মা ছেলেকে দেখাশোনার জন্য ঘরের চাবি তার ভাই নিজাম রাঢ়ীর কাছে রেখে ঢাকায় যান।
ওসি জানান, এরই মধ্যে
ঈদে সেখানে বেড়াতে আসেন সৎ মায়ের ভাইয়ের মেয়ে তানিয়া ও মেয়েজামাই ফেরদৌস। তারা রাতে
এই কিশোরের সঙ্গে তাদের বসত ঘরে ঘুমাতেন।
অভিযোগের বরাতে ওসি
বলেন, গত সোমবার টাকা চুরির অপবাদ তুলে কিশোরকে তার সৎ মামা নিজাম রাঢ়ীর মেয়ে তানিয়া,
তার স্বামী ফেরদৌস, তানিয়ার মা মমতাজ, নিজাম রাঢ়ীর ভাই হযরত আলী, প্রতিবেশী শামীম শিকল
দিয়ে গাছে বেঁধে মারধর করেন।
এরপর বুধবার [১১ মে]
থেকে ওই কিশোরকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে খবর পেয়ে তার সৎ মা ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে আসেন
এবং থানায় অভিযোগ করেন।
ওসি জানান, ঘটনায় জড়িত
অভিযোগে হযরত আলী, প্রতিবেশী শামিম, তানিয়া ও তার মা মমতাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফেরদৌস ও নিজাম রাঢ়ীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ওই কিশোরকেও খুঁজে
বের করার চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।
প্রকাশ হওয়া একটি ভিডিওতে
দেখা যায়, এই কিশোরকে একটি গাছে লোহার শিকলে বেঁধে এক ব্যক্তি মারধর করছে। আর আশপাশে
দাঁড়িয়ে দেখেছে ওই বাড়ির লোকজন।
কিশোরের সৎ মা সাংবাদিকদের
বলেন, “নির্যাতনের খবর পেয়ে আমি বাড়ি এসেছি। আমার ছেলেকে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে ধরে
নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে দফায় দফায় তিনদিন হজরত আলী, ফেরদৌস, মমতাজ ও তানিয়া অমানবিক নির্যাতন
করেছে। এরপর থেকে আমার ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছি না।”