ক্যাটাগরি

ব্যাটিং ধস থামানোর পথ খুঁজছেন ডমিঙ্গো

গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা
সফরে দুই টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ বেশ কিছু সময় লড়াইয়ের আভাস দিলেও ব্যাটিংয়ে বিধ্বস্ত
হয়ে গেছে অল্প সময়ের মধ্যেই। বিশেষ করে দুই টেস্টেই নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে।

ডারবান টেস্টের দ্বিতীয়
ইনিংসে চতুর্থ দিন বিকেলে ৫ ওভারের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় দল। পরদিন সকালে ১৩ ওভারের
মধ্যে আরও ৭ উইকট হারিয়ে গুটিয়ে যায় স্রেফ ৫৩ রানে। পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের প্রথম ইনিংসে
২৫ রানের মধ্যে পড়ে যায় শেষ ৫ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে চতুর্থ দিন সকালে ৭ উইকেট হারায়
তারা মাত্র ১৪.২ ওভারের মধ্যে।

ব্যাটিং নিয়ে যে
দুশ্চিন্তার অবকাশ আছে, তা এড়িয়ে গেলেন না ডমিঙ্গো। চট্টগ্রামে শুক্রবার অনুশীলনের
আগে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ বললেন, খারাপ সেশনকে এবার খুব বাজে সেশনে পরিণত হওয়া
থেকে আটকাতে চান তারা।

“অবশ্যই এটা দুর্ভাবনার জায়গা (ব্যাটিং
ধস)। যখন আমাদের একটি বাজে সেশন যায়, সেটি খুবই বাজে যায়। এক সেশনেই আমরা ৬-৭ উইকেট
হারিয়ে ফেলি। এটা নিয়ে আমরা কথা বলছি এবং সমাধানের পথ খুঁজছি। ড্রেসিং রুমে ধীরস্থির
থাকার চেষ্টা করছি যেন বাজে কিছু হলে ব্যাটসম্যানরা তা সামাল দেওয়ার অবস্থায় থাকে।
সবসময়ই এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে আমাদের।”

“এটি ক্রিকেটেরই অংশ (ব্যাটিং ধস)।
তবে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, একটি দুটি উইকেট হারালে পাঁচটি হারিয়ে না ফেলি। এটাই
চ্যালেঞ্জ, ধসের আভাস থাকলেই তা থামাতে হবে।”

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের
পর লাল বলের ক্রিকেটে আর কোনো ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। এই সিরিজের আগে স্রেফ কয়েকদিনের
অনুশীলনে নেমে পড়তে হচ্ছে মাঠে। ওই সফরে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত দলের জন্য ঘুরে দাঁড়ানোর
কাজটা কঠিনই হওয়ার কথা। ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাস খুব ভালো থাকার কথা নয়।

তবে সময়ের প্রবাহে
হতাশার ওই সিরিজের ক্ষতে প্রলেপ পড়েছে বলেই বিশ্বাস কোচের।

“নাহ, আমার মনে হয় না কোনো রেশ থাকবে
(ওই সফরের)। জেমি (সিডন্স) যেমন বলেছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় ভালো কিছু পারফরম্যান্সও ছিল।
অবশ্যই শেষ দুটি ইনিংস খুব ভালো ছিল না। তবে প্রতিবারই কঠিন কন্ডিশনে ব্যাটিংয়ে নামতে
হয়েছে ছেলেদের, কখনও দিনের শেষ দিকে, কখনও আলো খুব ভালো ছিল না। দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিন
আক্রমণ ছিল দুর্দান্ত, যারা সহায়ক কন্ডিশনে দারুণ বোলিং করেছে। আমার মনে হয় না, ওই
সিরিজের রেশ এখানে খুব বেশি আসবে। এক মাস হয়ে গেছে, আমরা তা পেছনে ফেলে এসেছি।”