প্রিয় শটে ক্রিকেটারদের আউট হওয়ার নজির নতুন কিছু নয়। তবে মুশফিকের ক্ষেত্র প্রিয় শটে বিপদ ডেকে আনা নিয়ে ক্যারিয়ার জুড়েই আলোচনা হয়েছে অনেক। কখনও সুইপ, কখনও স্লগ সুইপ নিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে তাকে। সবশেষ তাকে ঘিরে প্রবল আলোচনা ছিল রিভার্স সুইপ নিয়ে।
গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের তৃতীয় দিনে লাঞ্চ বিরতির চার মিনিট আগে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন মুশফিক। তখন তার মাত্রই ফিফটি হলো, দলের ভরসা তিনি টিকে ছিলেন উইকেটে। অমন সময়ে তার ওই শট নির্বাচন নিয়ে তখন বিস্ময় প্রকাশ করেন ধারাভাষ্যকাররা। বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
এরপর পেরিয়ে গেছে এক মাসের বেশি সময়। মুশফিক নিজে এই সময়টায় তার ওই শট নিয়ে কিছু বলেননি বা মুখ খোলেননি একবারও। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে ওই শটের প্রসঙ্গ উঠে এলো আবার। এবার মুখোমুখি ডমিঙ্গো।
এই শটে আপত্তির কিছু এমনিতে দেখেন না বাংলাদেশ কোচ। তার কাছে এই শট আর দশটা ক্রিকেট শটের মতোই। তবে যে শটে ঝুঁকি বেশি, সেটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠাও স্বাভাবিক। ডমিঙ্গোও যেমন বললেন, এই শট খেলার সঠিক সময়টা বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
“ধরুন, ওপেনিং ব্যাটসম্যান কাভার ড্রাইভ করতে গিয়ে আউট হলো বা মিড উইকেটের দিকে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হলো, এটা খেলা বন্ধ করতে বলবেন? কোনো শট নিয়ে যদি কারও আত্মবিশ্বাস থাকে, আস্থা থাকে এবং যদি সে মনে করে এটা ভালো বিকল্প, সেই শট খেলায় সমস্যা থাকতে পারে না। আমার মতে, শট খেলার সময়টা গুরুত্বপূর্ণ, কখন শটটি খেলা উচিত এবং কেন ওই শট খেলা প্রয়োজন।”
“রিভার্স সুইপে মুশফিক দুর্দান্ত, অতীতে এই শটে অনেক রানও করেছে। এই শট নিয়ে অনেক আত্মবিশ্বাসীও সে। স্রেফ সময়টা গুরুত্বপূর্ণ, কখন এই শট খেলবে। কাভার ড্রাইভও যেমন, খুব সুন্দর শট। কিন্তু বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হলে প্রথম ২০-৩০ বলের মধ্যে কাভার ড্রাইভ খেলতে গেলে ঝুঁকি থাকবে। ৫০-৬০ বল খেলার পর কাভার ড্রাইভে সমস্যা নেই। ব্যাপারটি তাই হলো, কখন শটটি খেলছে।”
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রস্তুতি পর্বে রিভার্স সুইপ অনুশীলন করতে দেখা গেছে তামিম ইকবালকেও। লঙ্কান স্পিনারদের চাপে ফেলতে তাই মুশফিকসহ দলের অন্যদেরও খেলতে দেখা যেতে পারে রিভার্স সুইপ। উপযুক্ত সময় তারা বেছে নিতে পারেন কিনা, দেখার এখন সেটিই।