শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উনার সম্পর্কে যখন আমাকে জানানো হল যে উনি এরকম, তখনই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এটা আমরা গঠন করব না। এটা নিয়ে এখনও ট্রাস্ট কমিটি গঠন করা হয়নি।
“অনেক সময় যারা বিভিন্ন ডিসটরশনে থাকে, সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করবে না।”
গত ১০ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য লাউঞ্জে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়াত এনায়েতুল্লাহ খানের মেয়ে নাসরীন জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষের কাছে ২৫ লাখ টাকার একটি চেক হস্তান্তর করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে এনায়েতুল্লাহ খানের ভাই বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননও ছিলেন।
এ ফান্ডের আয় থেকে প্রতি বছর গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জনকারী শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক এবং কয়েকজন মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে ‘এনায়েতুল্লাহ্ খান স্মৃতি ট্রাস্ট ফান্ড’ বৃত্তি দেওয়ার কথা ছিল।
এই ট্রাস্ট গঠনের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়। ‘প্রতিবাদ’ চলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।
তাদের দাবি, এনায়েতুল্লাহ খান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরোধিতাসহ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে ‘বিভ্রান্তি’ ছড়িয়েছেন। তার নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাস্ট ফান্ড গঠন ‘কাম্য নয়’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এ জেড এম এনায়েতুল্লাহ খান ইংরেজি সাপ্তাহিক দৈনিক হলিডে ও দৈনিক নিউ এজের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
তিনি জিয়াউর রহমানের সময় ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া কয়েকটি দেশে তিনি রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন।
সাংবাদিকতায় ভূমিকার জন্য বিএনপির সময়ে ২০০৪ সালে এনায়েতুল্লাহ খানকে একুশে পদক দেওয়া হয়। ২০০৫ সালের ১০ নভেম্বর তিনি মারা যান।