শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে বাংলাদেশের প্রথম ঘোষিত স্কোয়াডে ছিলেন সাকিব। গত মঙ্গলবার কোভিড পজিটিভ হওয়ায় তিনি ছিটকে যান। তবে শুক্রবার সকালেই খবর আসে তার নেগেটিভ হওয়ার। সন্ধ্যায় তার চট্টগ্রামে এসে দলে যোগ দেওয়ার কথা।
দলে যোগ দেওয়া মানেই অবশ্য টেস্ট খেলতে নেমে পড়া নয়। শারীরিক অবস্থা পরখ করেই রোববার থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্টে তাকে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তার খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা তাই আছে এখনও।
সাকিবের মতো একজনের খেলা নিয়ে টানাপোড়েন থাকা মানে প্রতিপক্ষের পরিকল্পনাও ব্যহত হওয়া। তবে করুনারত্নে বললেন, এই অলরাউন্ডারের জন্য প্রস্তুতি তাদের সবসময়ই ছিল।
“প্রস্তুতি শুরুর সময় আমরা জানতাম যে, সাকিব খেলবে। তার জন্য পরিকল্পনা তাই সবসময়ই ছিল। সে তাদের সেরা অলরাউন্ডার, তাকে নিয়ে পরিকল্পনা তো রাখতেই হবে। আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করব এবং দেখব কেমন হয়।”
শুধু সাকিবকে নিয়ে পরিকল্পনাই নয়, বাংলাদেশে আসার পর ব্যহত হয়েছে তাদের সার্বিক প্রস্তুতিও। দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের বেশির ভাগটাই ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। বাংলাদেশে আসার পর এখনও পর্যন্ত দুটি অনুশীলন সেশন তারা পেয়েছেন। তবে সার্বিক প্রস্তুতিতে ঘাটতি খুব একটা দেখছেন না লঙ্কান দলপতি।
“শ্রীলঙ্কায় কয়েক সপ্তাহের প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা। দুই দেশের কন্ডিশন প্রায় একই। তাই প্রস্তুতি ম্যাচ খুব বড় কোনো পার্থক্য গড়বে বলে আমার মনে হয় না। অনুশীলন যথেষ্ট হয়েছে আমাদের। আজকে খুব ভালো সেশন হয়েছে, আগামীকালও আছে অনুশীলন। ছেলেরা তাই টেস্টের জন্য ভালোভাবেই প্রস্তুত।”
আর্থিক সংকট থেকে শ্রীলঙ্কায় এখন চলছে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা। বাংলাদেশে আসার পর দলের প্রতিনিধি হয়ে সহকারী কোচ নাভিদ নওয়াজ যদিও বলেছিলেন, এসব নিয়ে তাদের ভাবনা নেই। তবে গত কয়েকদিনে পরিস্থিতি নাজুক হয়েছে আরও। প্রতিটি দিনই অবনতি হচ্ছে পরিস্থিতির। করুনারত্নে অবশ্য আবারও বললেন, ক্রিকেটের বাইরের ভাবনা তার নেই।
“সবাই জানে দেশে কী হচ্ছে। আমরা এখানে এসেছি ক্রিকেট খেলতে এবং এটাই আমাদের ভাবনার একমাত্র জায়গা। আমরা একমাত্র যেটা পারি, তা হলো দেশের মানুষকে ভালো ফল উপহার দেওয়া।”