অশালীন বক্তব্যের কারণে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো জামালপুরের সংসদ সদস্য মুরাদ হাসানের কপালে তাই ঘটেছে, ফ্যানের আঘাতে কেটে যাওয়া কপালে তিনটা সেলাই দিতে হয়েছে।
বিপত্তিটা ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে। জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার দৌলতপুরের বাড়িতে কয়েকজন অনুসারীর সঙ্গে কথা বলছিলেন মুরাদ।
টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “হঠাৎ সিলিং ফ্যানটা খুলে এসে কপালে লেগেছে। পরে ডাক্তার এসে তিনটা সেলাই করে দিয়েছে।”
খবর পেয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা দেবাশীষ রাজবংশী নিজেই গিয়েছিলেন সংসদ সদস্যের কপালের ক্ষত পরিচর্যা করতে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আশঙ্কাজনক কিছু নেই। তারপরও উনাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”
চিকিৎসাশাস্ত্রের ডিগ্রিধারী মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ আসন থেকে প্রথমবার সংসদে যান ২০০৮ সালের নির্বাচনে।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে দ্বিতীয়বার জয়ী হওয়ার পর তাকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পাঁচ মাসের মাথায় তিনি পান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।
এক চিত্রনায়িকাকে টেলিফোনে হুমকি আর অশালীন বক্তব্যের অডিও ফাঁস হলে গত বছরের ডিসেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদ হারাতে হয় মুরাদকে। জামালপুর আওয়ামী লীগের পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয় স্থানীয় এই এমপিকে।
নানা নাটকীয়তার মধ্যে ৯ ডিসেম্বর রাতে কানাডার উদ্দেশে দেশ ছাড়েন মুরাদ। কিন্তু কানাডায় কিংবা আরব আমিরাতে ঢুকতে না পেরে দুদিন পর তাকে ফের দেশে ফিরতে হয়। এর পর থেকে তিনি অনেকটা লোকচক্ষুর আড়ালেই থাকছেন।