ক্যাটাগরি

জেরুজালেমে সাংবাদিক শিরীনের শবযাত্রার শুরুতে সংঘর্ষ

শুক্রবার ইসরায়েল-অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের সেন্ট জোসেফ হাসাতাল প্রাঙ্গণে শিরীন হত্যার প্রতিবাদে স্লোগান দিয়ে পতাকা উড়ায় ফিলিস্তিনিরা। তখনই একদল মুখোশধারী ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বেধে যায়।

টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সাংবাদিক শিরীনের কফিন বহনকারী ফিলিস্তিনিরা স্লোগান দিচ্ছে। তাদের ভিড়ের মধ্যে লাঠিচার্জ করে ইসরায়েলি পুলিশ। এ সময় সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ধাক্কাধাক্কিতে কফিনটি পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়।

ইসরায়েলি পুলিশ সদস্যদের লাঠিচার্জের জবাবে ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা যায় ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিদের। এই সহিংস পরিস্থিতি আবু আকলেহ হত্যার ঘটনায় ফিলিস্তিনিদের বাড়তে থাকা ক্ষোভই সামনে নিয়ে এসেছে। এ থেকে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করার আশঙ্কাও সৃষ্টি হয়েছে।

আবু আকলেহ দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনিদের নানা বিষয় এবং মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করে আসছিলেন। গত বুধবার ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরায়েলি বাহিনীর একটি অভিযানের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন শিরিন আবু আকলেহ। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয়।

ফিলিস্তিন কর্র্তপক্ষ আবু আকলেহ হত্যার জন্য ইসরায়েলি বাহিনীকে দোষারোপ করেছে। ইসরায়েল সরকার প্রাথমিকভাবে ফিলিস্তিনিদের গুলিতে শিরীন মারা গিয়ে থাকতে পারেন বলে দোষারোপ করেছে। তবে ইসরায়েলের গুলিতে শিরীনের মারা যাওয়ার সম্ভাবনাও নাকচ করেননি কর্মকর্তারা।

শুক্রবার সংঘর্ষের বিষয়ে ইসরায়েলি পুলিশ বলেছে, দাঙ্গাকারী ফিলিস্তিনিরা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে পাথর ছুড়ছিল। সেকারণে পুলিশ এর জবাব দিতে বাধ্য হয়েছে। এ বিষয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

কয়েক মিনিট পর আবু আকলেহর কফিন একটি যানে তোলা হয় জেরুজালেমের ওল্ড সিটির ক্যাথেড্রালে নেওয়ার জন্য। সেখানে পরে শেষকৃত্য শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।