গত ডিসেম্বরের
পর এই টেস্টের আগে লাল বলে হাত ঘোরাননি সাকিব। কোভিড থেকে নাটকীয়ভাবে সেরে ওঠার পর
স্রেফ শনিবার অনুশীলন করেছেন। তবে ঝালিয়ে নিয়েছেন স্রেফ ব্যাটিং। অনুশীলনে বল করেননি
একটিও। অথচ তার বোলিংয়ে না ছিল অস্বস্তি, না ছিল জড়তা, না ছিল কোনো ঘাটতি।
অনুশীলনে
বোলিং না করে টেস্ট খেলতে নেমে যাওয়া আদর্শ নয় কখনোই। দীর্ঘ বিরতির পর অনুশীলন ছাড়া
টেস্টে বোলিং করতে নেমে যাওয়া তো আরও বিস্ময়কর। সঙ্গে যদি যোগ হয় কোভিড থেকে সেরে ওঠা,
তাহলে পুরো চিত্র হয়ে ওঠে আরও অবিশ্বাস্য। কিন্তু সাকিব তো ক্যারিয়ারে অনেকবারই চমকে
দিয়েছেন। এবারও তার পারফরম্যান্স ব্যাখ্যাতীত।
বোলিংয়ে
আনা হলো তাকে ৩৫ ওভারের পর। লম্বা সময় পর বোলিং করতে এলে শুরুতে একটু সময় লাগার কথা
ছন্দ পেতে। সাকিব যেন ছন্দ থেকেই শুরু করলেন। প্রথম ওভারে দিলেন ১ রান, দ্বিতীয় ওভার
মেডেন। এরপর ওভারের পর ওভার দারুণ বোলিং করে গেলেন। তার প্রথম স্পেল ১০-৫-৯-০!
নিষ্প্রাণ
ব্যাটিং উইকেটেও লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের বেশ ভোগাতে ও ভাবাতে পারলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত
দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওভার করলেন তিনিই। দিন শেষে তার বোলিং ফিগার ১৯-৭-২৭-১। নাঈম
হাসান উইকেট নিয়েছেন দুটি, তবে দিনের সেরা বোলার যে সাকিব, এটা নিয়ে সংশয় থাকার কথা
নয় কারও।
সংশয়
ছিল না যেমন রঙ্গনা হেরাথেরও। বাংলাদেশের স্পিন কোচ ও লঙ্কান বাঁহাতি স্পিন গ্রেট নিশ্চিত
ছিলেন, বোলিং অনুশীলন ছাড়াও সমস্যা হবে না সাকিবের।
“তার
ওপর আমার শতভাগ বিশ্বাস ছিল যে অনুশীলন ছাড়াই সে ভালো করবে।”
“তার
মতো সামর্থ্যের ক্রিকেটার আমরা খুব বেশি পাই না। যদি খেয়াল করে দেখেন, অনুশীলন ছাড়া
সে প্রথম বলটিই করেছে একদম ঠিকঠাক। দারুণ ব্যাপার এটা। তার আত্মবিশ্বাস এতটাই ভালো।
গোটা দলকেও সে আত্মবিশ্বাস জোগায়। আজকে সে দারুণ বোলিং করেছে, দলের সবচেয়ে মিতব্যয়ী
বোলার সে।”