বলিউডের এই তারকা অভিনেত্রীর ৫৫তম জন্মবার্ষিকীতে ভারতের চলচ্চিত্র সাংবাদিক রাজিব বিজয়কর এক লেখায় এই খবরটি জানিয়েছেন।
‘দ্য মিন্ট’ এ প্রকাশিত সে লেখায় রাজিব বলেছেন, কলেজে পড়ার সময় ‘ভালো ছাত্রী’ হিসেবেই পরিচিতি ছিল মাধুরীর। কলেজে নাচ ও নাটক করলেও তার ইচ্ছা ছিল মাইক্রোবায়োলজিস্ট হওয়া।
কিন্তু চলচ্চিত্র দুনিয়ায় পা রাখার পর মাধুরীর জীবন মাইক্রোবায়োলজি থেকে অনেক দূরে চলে যায়। অবশ্য পরে তিনি বিয়ে করেছেন একজন চিকিৎসককে।
মাধুরীর জন্ম ১৯৬৭ সালের ১৫ মে মুম্বাইয়ের এক মারাঠি পরিবারে। দুই ভাই, দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট মাধুরী নাচ শিখেছেন ছেলেবেলাতেই, যা পরে তার বলিউডে আসন নিতে কাজে দিয়েছিল।
১৯৮৮ সালে তেজাব সিনেমায় ‘এক দো তিন’ এ সঙ্গে নেচে মাধুরী যে ঝড় তুলেছিলেন, তারপর আর পেছনে ফিরতে হয়নি তাকে।
তবে ১৯৮৪ সালে অবোধ সিনেমা দিয়ে বলিউডে পা রাখার পরের চার বছর তাকে টিকে থাকার সংগ্রামই করতে হয়েছিল।
তেজাব হিট হওয়ার পর মাধুরীর মধ্যে নতুন মধুবালাকে খুঁজে পেয়েছিল ভারতের দর্শকরা। তারপর একের পর এক হিট সিনেমা দিয়ে গেছেন তিনি, আর নাচের ক্ষেত্রে হয়ে উঠেছিলেন অদ্বিতীয়া।
১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ভারতীয় চিকিৎসক শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করার কিছু দিন পর অভিনয়ে বিরতি দিয়েছিলেন মাধুরী।
স্বামী শ্রীরাম নেনের সঙ্গে মাধুরী দীক্ষিত।
মাধুরীর জন্মদিনে ইনস্টাগ্রামে আবেগঘন এক পোস্টে স্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নেনে। তিনি লিখেছেন- “খুব ভালোবাসি তোমাকে, আর সবচেয়ে বেশিটাই তোমার প্রাপ্য। তোমার একটি আনন্দময় জন্মদিন প্রত্যাশা করছি। আরও চমকপ্রদ সব বছর আসুক, দুজনের জন্যই।”
বিয়ের পরপরই কয়েকটি সিনেমা করেছিলেন মাধুরী; সন্তান হওয়ার পর বিরতি দেন অভিনয়ে।
এই বিরতি নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে মাধুরী বলেছিলেন, “বিয়ের পরপরই আমি সব কাজ গুছিয়ে আনতে থাকি। এরপর শুরু হয় মা হওয়ার কারণে ব্যস্ততা।
“তখন আরিয়ান আর রিয়ান (দুই সন্তান) ছিল আমার অগ্রাধিকারের তালিকায়। তাদের পড়াশোনা, খেলাধুলা সবই ছিল আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”
তবে দুই সন্তান বড় হওয়ার পর আবার অভিনয়ে ফিরেছেন মাধুরী। ২০১১ সালে মুম্বাই ফেরার পর একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থাও গড়ে তুলেছেন।
কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর এই বছর নেটফ্লিক্স সিরিজ দি ফেম গেমেও মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাধুরী।
অভিনয়ের জন্য জীবনে বহু পুরস্কারে ভূষিত মাধুরীকে ২০০৮ সালে পদ্মশ্রী খেতাব দিয়ে সম্মান জানায় ভারত সরকার।