এ নিয়ে রোববার সকাল পর্যন্ত তারা মোট ৪২ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
উত্তর কোরিয়া বৃহস্পতিবার ‘বিস্ফোরক’ কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় লড়ার কথা স্বীকার করে নিলে স্বল্প সম্পদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, রোগী শনাক্তে সীমিত সক্ষমতা ও টিকাদান কর্মসূচির বাইরে থাকা দেশটিতে ভাইরাস যে কী ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ দেখা দেয়।
দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে ‘ত্বরিত রাষ্ট্রীয় জরুরি ব্যবস্থা’ নেওয়ার কথা জানালেও পিয়ংইয়ং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের টিকা সহায়তা নেবে এমন কোনো ইঙ্গিত মেলেনি।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এর আগে কোভিড-১৯ এর বিস্তৃতি তার দেশকে ‘মহা গোলযোগে’ ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছিলেন এবং প্রাদুর্ভাব থেকে বেরিয়ে আসতে সর্বাত্মক লড়াইয়ের ডাক দিয়েছিলেন।
তবে লকডাউন সত্ত্বেও শনিবার কিম ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কিমের বাবা কিম জং ইলের শাসনামলে ‘ডি ফ্যাক্টো’ রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করা ইয়াং হিয়ং সপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন।
কেসিএনএ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষগুলো আরও মহামারী প্রতিরোধ পোস্ট বসাচ্ছে, হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে মেডিকেল সরবরাহ পাঠানো হচ্ছে। দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের কাছে থাকা ওষুধ দান করছেন।
শনিবার রাতে কোরিয়ান সেন্ট্রাল টেলিভিশনে জ্বরের চিকিৎসাপদ্ধতি দেখানো হয়েছে। কিমানিউ হাসপাতালের এক চিকিৎসক লবন পানিতে কুলকুচা করার পরামর্শ দিয়েছেন। শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলে, মাথাব্যথা এবং পেশি ও শরীরের বিভিন্ন সংযোগস্থলে ব্যাথা থাকলে আলাদা আলাদা চিকিৎসা পদ্ধতিও অনুসরণ করতে বলেছেন তিনি।
কেসিএনএ শনিবার দিনে তিনবার উইলো পাতার চা খাবারও পরামর্শ দিয়েছিল।
নতুন ২ লাখ ৯৬ হাজার ১৮০ জনসহ রোববার পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ায় জ্বরের লক্ষণযুক্ত মোট ৮ লাখ ২০ হাজার সম্ভাব্য রোগী পাওয়ার কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় এ সংবাদমাধ্যমটি; এদের মধ্যে এখন তিন লাখ ২৪ হাজার ৫৫০ জনের চিকিৎসা চলছে।
দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে উত্তর কোরিয়া তাদের দেশে কোনো কোভিড রোগী নেই বলে দাবি করে আসছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, তারা বিশ্বের সেই দুটি দেশের একটি, যারা এখন পর্যন্ত কোভিড টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেনি।