হাজার
কোটি টাকা পাচারের অভিযোগের মুখে থাকা পি কে হালদার ভারতে ধরা পড়ার পর রোববার দলীয়
চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এই দাবি জানান তিনি।
ফখরুল
বলেন, “আমাদের
প্রশ্ন এরকম কতজন পি কে হালদার আছে, আর এরকম কতজন মানুষ আছে?
“আমরা
জানতে চাই যে, এই ধরনের কত টাকা পাচার হয়েছে? কীভাবে, কোন পদ্ধতিতে পাচার হল? কারা
তার জড়িত ছিল? কারা মদদ দিয়েছে? সেই বিষয়গুলো পরিষ্কার করে জাতির সামনে তুলে ধরার
জন্য আমরা সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।”
দুর্নীতি
দমন কমিশন অর্থ পাচারকারীদের ধরার বদলে বিএনপি নেতাদের হয়রানিতে ব্যস্ত বলে অভিযোগ
করেন তিনি।
“দুর্নীতি
দমন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে এই যে দুর্নীতি হচ্ছে, চুরি হচ্ছে, ডাকাতি করে অর্থ পাচার
করা হচ্ছে, তা অবশ্যই তদন্ত করে বের করে জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে।”
ভারতে
পি কে হালদার ধরা পড়ায় কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এটা ভালো কথা। আমরা
খুবই .. কিছুটা হলেও যে একজন যিনি টাকা পাচার করেছেন, তাকে ধরা হয়েছে ভারতে।”
অর্থ
পাচারে ক্ষমতাসীন দলের নেতারাও জড়িত অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, “আওয়ামী লীগের সাধারণ
সম্পাদক নিজেই বলেছেন ফরিদপুরের একটা সম্মেলনে, হাজার হাজার কোটি টাকা যারা পাচার
করেছে, তাদেরকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেওয়া হবে না। তার মানে তিনি স্বীকার করে
নিয়েছেন যে আওয়ামী লীগের লোকেরা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে।”
আওয়ামী
লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বুদ্ধ
পূর্ণিমা উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিএনপি ও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ
থেকে বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানান ফখরুল।
বিএনপির
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বৌদ্ধ
সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।
ত্রিপিটক
পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানে কমলাপুর আন্তর্জাতিক ধর্মরাজিক বৌদ্ধ
বিহারের বিদর্শাচার্য্ এস শাসনবংশ মহাথের প্রার্থনা করেন। পরে মেরুল বাড্ডা
আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের সুনন্দ মিত্র থের বক্তব্য রাখেন।
বিএনপির
সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ানের সভাপতিত্বে ও জিয়া পরিষদের নেতা সুভাষ
চন্দ্র চাকমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য
খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের
উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, সুকোমল বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় নেতা শামা ওবায়েদ,
গৌতম চক্রবর্তী, জন গোমেজ, অমলেন্দু দাস অপু, আবদুল বারী ড্যানী এবং বৌদ্ধ
সম্প্রদায়ের তরফ থেকে মনীষ দেওয়ান, সুশীল বড়ুয়া, উদয় কুসুম বড়ুয়া, প্রবীন চন্দ্র
চাকমা, চন্দ্র গুপ্ত বড়ুয়া, সনত তালুকদার, রনজিত বড়ুয়া, অনিমেষ চাকমা রিংকু, জয়ন্ত
বড়ুয়া, রুবেল বড়ুয়া, পারদর্শী বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নেতা জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু,
বীথিকা বিনতে হোসাইন, তরুণ দে উপস্থিত ছিলেন।