গত সপ্তাহে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড
থেকে হলান্ডকে দলে ভেড়ানোর ঘোষণা দেয় সিটি। চলতি মৌসুম শেষে ম্যানচেস্টারের ক্লাবটিতে
যোগ দেবেন নরওয়ের ২১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
হলান্ডকে পেতে সিটির সঙ্গে
লড়াইয়ে ছিল রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখ। বিভিন্ন সময়ে নানা সুত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে
খবর আসে, অর্থনৈতিক দিকের চেয়ে পরবর্তী গন্তব্য বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে ফুটবলীয় দিকটাই
বেশি গুরুত্ব দেবেন নরওয়ে তারকা।
শেষ পর্যন্ত তার সিটিতে যোগ
দেওয়ার পেছনে ক্লাবটির ডাগআউটে গুয়ার্দিওলার উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে
অনেকের ধারণা। কেননা তরুণ বয়সে এই স্প্যানিয়ার্ডের কোচিংয়ে খেলে অনেকের তারকা হওয়ার
নজির তো কম নেই। অনেক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত তারকারাও তাদের নতুন করে খুঁজে পেয়েছেন গুয়ার্দিওলার
দলে খেলে। বার্সেলোনা, বায়ার্ন ও সিটির হয়ে তার অর্জনের ভাণ্ডারও বেশ সমৃদ্ধ।
বার্সেলোনায় গুয়ার্দিওলার কোচিংয়ে
লিওনেল মেসি, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও শাভি এরনান্দেসরা নিজেদের নিয়ে গেছেন সেরাদের কাতারে।
সবশেষ ধরা যেতে পারে কেভিন ডে ব্রুইনের উদাহরণ। প্রতিভা ও সম্ভাবনা, দুটো থাকলেও এর
প্রতিফলন তেমন দেখা যাচ্ছিল না তার খেলায়।
বেলজিয়ামের এই মিডফিল্ডার সিটিতে
যোগ দেওয়ার পরের বছর কোচ হয়ে আসেন গুয়ার্দিওলা। এরপর থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে ছাপিয়ে
যেতে শুরু করেন ডে ব্রুইনে। ২৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার একবার জিতেছেন প্রিমিয়ার লিগের
বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের খেতাব। এবারও পেয়েছেন মনোনয়ন।
সব মিলিয়ে হলান্ড ও অন্যান্য
খেলোয়াড়দের সিটিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তে গুয়ার্দিওলার উপস্থিতি যে কিছুটা হলেও প্রভাবক
হিসেবে কাজ করে, তা বলাই যায়।
লিগে রোববার ওয়েস্ট হ্যাম
ইউনাইটেডের বিপক্ষে মাঠে নামবে সিটি। আগের দিন ওই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে গুয়ার্দিওলা
তা উড়িয়ে দেন। বলেন, খেলোয়াড়দের দলে টানার ক্ষেত্রে ক্লাব হিসেবে সিটিই যথেষ্ট আকর্ষণীয়।
“খেলোয়াড়রা যারা এখানে (সিটি)
আসে, তারা আমার জন্য খেলতে আসে না। তারা এই লিগে এবং এই ক্লাবের হয়ে খেলতে আসে।”
“এখানকার মানুষ, আমরা যেভাবে
খেলি, আমরা যেমন দল, এই শহর, লিগে আমাদের অবস্থান, আগামী মৌসুমগুলোতে আমরা চ্যাম্পিয়ন্স
লিগে কীভাবে খেলব, এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে অনেক বিষয় জড়িত।”
গুয়ার্দিওলা সিটির কোচ হয়ে
আসার আগে থেকেই দলটিতে ছিলেন সের্হিও আগুয়েরো, দাভিদ সিলভা ও ভিনসেন্ট কোম্পানি। অন্য
কোচদের হয়ে খেলার পর গুয়ার্দিওলার কোচিংয়েও দারুণ সাফল্য পেয়েছেন তারা।
গুয়ার্দিওলা মনে করেন, ক্লাবের
সংস্কৃতির কারণেই খেলোয়াড়রা সিটির হয়ে খেলতে চান।
“খেলোয়াড়রা শুধু এক মাস বা
এক বছরের জন্য আসে না… আমরা তাদের এই শহরে, ড্রেসিং রুমে, প্রিমিয়ার লিগে খেলা এবং
আরও অনেক কিছুর জন্য যেন তারা খুশি থাকে, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করি। এর পর কী হবে তা
কেউ জানে না।”
ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে জিতলে
লিগ শিরোপা ধরে রাখার দুয়ারে পৌঁছে যাবে সিটি। ৩৬ ম্যাচে ২৮ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ৮৯ পয়েন্ট
নিয়ে শীর্ষে আছে তারা।
সমান ম্যাচে ৮৬ পয়েন্ট নিয়ে
দুই নম্বর স্থানে আছে লিভারপুল।