রোববার মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু প্রকল্পের রেললাইন স্থাপন কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।
ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটারের মধ্যে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার এবং ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত দূরত্ব ৩৯ কিলোমিটার।
লাইনটি ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নড়াইল জেলা হয়ে যশোর পৌঁছাবে।
আর ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার পুরো পথে রেল প্রকল্প বাস্তবায়ন ২০২৪ সালের মধ্যে হবে বলে জানান তিনি।
এ সময় তিনি কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে বলেন, ঢাকা থেকে মাওয়া অংশের কাজের অগ্রগতি ৬০.৪ শতাংশ; মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৭৮ শতাংশ; ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৪৯.৫ শতাংশ। আর ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলসেতুর সার্বিক অগ্রগতি ৫৭.৫০ শতাংশ।
মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী দিন থেকে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথ চালু করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু কারিগরি দিক বিবেচনায় পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় সেতুতে রেললাইনের কাজ করা সম্ভব হয়নি।
“এ কারণে জুন মাসে সেতু উদ্বোধন হয়ে যাওয়ার পরে জুলাই মাস থেকে সেতুতে রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু হবে।”
তিনি জানান, চলতি বছর ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে এবং ২০২৪ সালের মধ্যে যশোর পর্যন্ত পুরো কাজ সম্পন্ন হবে।
পদ্মার রেল সংযোগ প্রকল্পে চীনের অর্থায়ন কমছে
পদ্মায় রেলের জন্য চীনের সঙ্গে ২৭৬ কোটি ডলারের চুক্তি সই
পদ্মা সেতু: রেল-সড়কপথ একসঙ্গে উদ্বোধনে ‘সংশয়’ রেলমন্ত্রীর
“এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করবে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা এবং চায়না সরকারের থাকবে প্রায় সাড়ে ২১ হাজার কোটি টাকা।”
বহুমুখী পদ্মা সেতুর নিচতলার এক পাশে বসেছে গ্যাস লাইন, আরেক পাশে সার্ভিস লেন। মাঝখানেই রেললাইন।
সেতুতে পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপনে আরও ছয় মাস সময় লাগবে বলে মন্ত্রী জানান।
মন্ত্রী সাংবাদিকদের আরও জানান, পদ্মা সেতুর দুই পারের সাড়ে ৪ কিলোমিটার রেল সংযোগ সেতুতে রেল ট্র্যাক বসে গেছে। সেতুর দুই প্রান্তে ৭ দশমিক ১৫ কিলোমিটার রেল সংযোগ সেতুর মাত্র ২ দশমিক ৬৫ কিলোমিটারে রেল ট্র্যাক বসানো বাকি।
পরে মন্ত্রী মাওয়া থেকে পদ্মা পাড়ি দিয়ে অপর প্রান্তে মাদারীপুরে কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে যান।
এ সময় রেললিংক প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার আবু সাঈদ, মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক স্নেহাশীষ দাশসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।