ক্যাটাগরি

বুদ্ধ পূর্ণিমায় উঠল কারফিউ, শ্রীলঙ্কায় নতুন মন্ত্রিসভা

তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত-বিক্ষুব্ধ শ্রীলঙ্কানদের জীবনে খানিকটা শান্তির পরশ হয়ে এসেছে বুদ্ধ পুর্ণিমা। এদিন অনেক সরকারি ও বেসরকারি ভবনে বৌদ্ধ ধর্মের প্রতীক নানা রঙের পতাকা উড়তে দেখা যায়। লোকজন পুরো সাদা রঙের পোশাক পরে মন্দিরে প্রার্থনা করতে যান। সেই প্রার্থনায় তারা নিশ্চিতভাবেই দেশে শান্তি কামনা করেছেন।

ভারত মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার মানুষদের উপর হঠাৎ করেই যে অর্থনৈতিক বিপর্যয় ‍নেমে এসেছে সেটার জন্য তারা মোটেও প্রস্তুত ছিল না। এজন্য তারা দেশটির সরকারকে দায়ী মনে করে এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এক মাসের বেশি সময় ধরে আন্দোলন করে আসছে। শুরুতে ওই আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ছিল।

কিন্তু ব্যত্যয় ঘটে গত ৯ মে। ওই দিন প্রথমে সদ্য পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের সমর্থকরা কলম্বোয় আন্দোলনকারীদের উপর হামলা করেন। তারপরই শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সংঘাত। যাতে নয় জন নিহত এবং তিন শতাধিক মানুষ আহত হন। পদত্যাগে বাধ্য হন মাহিন্দা। দেশজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়।

বিক্ষোভকারীরা মাহিন্দার ভাই প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। এদিকে গোটাবায়া বিরোধী দলগুলোকে সব বিরোধ ভুলে একজোট হয়ে দেশকে চলমান সংকট থেকে উত্তরণের আহ্বান জানান।

নতুন প্রধানমন্ত্রী করা হয় বিরোধীদলের নেতা রনিল বিক্রমাসিংহেকে। অভিজ্ঞ রনিল এর আগে আরো পাঁচবার শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। যদিও কোনোবারই তিনি মেয়াদ শেষ করতে পারেননি।

গত বৃহস্পতিবার নতুন করে শপথ গ্রহণের একদিন পর শনিবার রনিল তার মন্ত্রিসভায় প্রথম নিয়োগ দেন। শ্রীলঙ্কার বর্তমান পার্লামেন্টে রনিলের দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির একমাত্র এমপি তিনি নিজে। সরকার গঠনের জন্য রাজাপাকসের দল তাকে সমর্থন দিয়েছে।

শনিবার রনিল চারজন মন্ত্রীকে নিয়োগ দেন। তাদের সবাই রাজাপাকসের দলের এমপি। এতে বিক্ষোভকারীরা অসন্তুষ্ট হয়েছেন বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বিক্ষোভকারীরা রাজাপাকসে পারিবারের মুঠো থেকে শ্রীলঙ্কার রাজনীতির মুক্তি চান।