শুক্রবার পুলিশের কয়েকটি
সূত্রের উদ্ধৃতি
দিয়ে শ্রীলংকার
‘সিলন টুডে’
পত্রিকা জানিয়েছে,
দেশে বাড়তে
থাকা সহিংস
বিক্ষোভের মধ্যে দু’বার জরুরি
অবস্থা ঘোষণা
করা হয়েছে।
এমন একটি সময়ে
বিদেশে থাকা
তামিলদের কিয়দংশ
বহুজাতিক যোগসাজসের
মাধ্যমে শ্রীলংকায়
নিরাপত্তা বাহিনী এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যেকার
চলমান সহিংসতায়
নিজেদের ‘উপস্থিতি’
জানান দেওয়ার
চেষ্টা করছে।
১৮ মে মুল্লিভাইকাল
হত্যাযজ্ঞের বার্ষিকী।
শ্রীলংকার কোনো কোনো গোষ্ঠী এ
দিনটিকে তামিল
গণহত্যা স্মরণ
দিবস হিসেবে
পালন করে।
সাবেক এলটিটিই ক্যাডাররা
এই স্মরণ
দিবসে হামলার
পরিকল্পনা করার পাশাপাশি তাদের নেতা
ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণসহ সংবাদ পাঠক ইসাই
প্রিয়া ও
অন্যান্যদের হত্যার বদলা নেয়ার চক্রান্ত
করছে।
শ্রীলংকায় গৃহযুদ্ধের শেষ দিকে ২০০৯
সালে হত্যা
করা হয়েছিল
এসব তামিল
নেতাকে।
গোয়েন্দাদের উদ্ধৃতি দিয়ে
পুলিশ সূত্র
জানিয়েছে, এলটিটিই’র সাবেক কিছু
গেরিলা শ্রীলংকায়
হামলা পরিকল্পনা
করা এবং
তা বাস্তবায়ন
করতে তামিলনাড়ুতে
প্রবেশ করেছে। রাজ্যটিতে গোয়েন্দা বিষয়ক বিশেষ
দল এবং
স্থানীয় পুলিশ
কমপক্ষে এক
হাজার কিলোমিটার
বিস্তীর্ণ উপকূলীয় অঞ্চল বরাবর নজরদারি
বাড়িয়েছে।
জলসীমায়ও টহল বাড়িয়েছে
তামিলনাড়ু পুলিশের উপকূলীয় নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী। হামলার ঝুঁকি সম্পর্কে সমুদ্রের
মাছশিকারীদেরকেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে
এবং কোনওরকম
সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড নজরে পড়ে কিনা
সে ব্যাপারে
সজাগ থাকতে
বলা হয়েছে।
উপকূলীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে
শ্রীলংকা থেকে
কারও ভারতে
অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বলা হয়েছে এবং
সব উপকূলীয়
জেলার পুলিশ
সুপারইনটেন্ডেন্টদেরকে সাগর অভিমুখী
সব সড়কে
যানবাহনে তল্লাশি
জোরদার করতে
বলা হয়েছে।
সম্প্রতি কয়েকবছরে তামিলনাড়ু
সন্দেহভাজন এলটিটিই সমর্থক কিংবা দলটির
সাবেক ক্যাডারদের
তৎপরতার
সাক্ষী হয়েছে। গত বছর জাতীয় তদন্ত
সংস্থা এলটিটিই’র গোয়েন্দা
শাখার সাবেক
এক সদস্যকে
গ্রেপ্তার করেছে।
তার বিরুদ্ধে
আন্তর্জাতিক যোগসাজশে মাদক পাচার এবং
শ্রীলংকায় এলটিটিই’র পুনর্গঠনের জন্য
অর্থ সংগ্রহের
অভিযোগ আছে।
আরেকটি ঘটনায় চেন্নাই
বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছেন এক নারী। গোপন একটি ব্যাংক একাউন্ট
থেকে জালিয়াতি
করে বড়
অংকের অর্থ
তোলার জন্য
তিনি মুম্বাই
যাচ্ছিলেন।
তদন্তে দেখা
গেছে, শ্রীলংকায়
এলটিটিই-কে
নতুন করে
সংগঠিত করতে
তহবিল সংগ্রহের
জন্য এই
নারীকে নিয়োগ
করা হয়েছিল।