সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ
সুপার আকরামুল হাসান জানান, রোববার দুপুরে মাইজদীর আল ফারুক একাডেমি ভবনে গোপন বৈঠক
থেকে তাদের আটক করা হয়।
আকরামুল বলেন, “বিভিন্ন উপজেলা
থেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা সরকারবিরোধী গোপন বৈঠক করছে – এমন খবরে
অভিযান চালিয়ে ৪৫ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছে থাকা ধর্মীয় উগ্রতা
সৃষ্টিকারী বিভিন্ন বই ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়।”
তিনি আরও বলেন, ধর্মকে পুঁজি
করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বৈঠকটি
আয়োজন করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। আটকদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে
মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে জামায়াতের কর্মী ও জেলা
আইনজীবী সমিতির সাবেক সেক্রেটারি তাজুল ইসলাম বলেন, আল ফারুক একাডেমিতে তারা
মানবসম্পদ উন্নয়ন সংস্থার ব্যানারে ‘নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন কৌশল’ শীর্ষক একটি বৈঠক
করছিলেন। সেখানে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা না হলেও অকারণে পুলিশ তাদেরকে
হয়রানির উদ্দেশে আটক করে।
আটকদের মধ্যে রয়েছেন জামায়াতের
সোনাইমুড়ি উপজেলা আমির ও চাষিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান মো. হানিফ, চাটখিল উপজেলার
নায়েবে আমির মো. মহিউদ্দিন, সেক্রেটারি ওমর ফারুক, চাটখিল পৌরসভার আমির নূর
হোসাইন, সেনবাগ উপজেলা সেক্রেটারি মো. নুরুল আফসার, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী
সেক্রেটারি মো. বেলায়েত হোসেন, সুবর্ণচরের উপজেলা মানবসম্পদ সম্পাদক ওমর ফারুক,
কবিরহাট উপজেলা অফিস সম্পাদক এনায়েত উল্যাহ ও সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়ন সভাপতি
মো. মহিউদ্দিন।