ক্যাটাগরি

গৃহস্থালীর যে অনুষঙ্গগুলো ক্ষতিকর

জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি’র পরিবেশ
ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. এমি জোটা ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “ঘরের
বিভিন্ন পণ্যতে থাকা রাসায়নিক উপাদান বাতাস ও ধুলাবালিতে মিশে গিয়ে নিঃশ্বাসের সঙ্গে
শরীরে প্রবেশ করতে পারে।“

ফ্যালেইটস:
প্লাস্টিক তৈরিতে এই রাসায়নিক উপাদান ব্যবহৃত হয়। প্রজনন ক্ষমতা ও মস্তিষ্কের বিকাশের
ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এটা।

অনেক পণ্যের গায়ে এটি লেখা থাকলে সুগন্ধি
নামেও একে চালিয়ে দেওয়া হয় কিছু পণ্যের গায়ে।

নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভার্সিটি’র
‘নিউরোসাইন্স অ্যান্ড টক্সিকোলজি’ বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডা. হিদার প্যাটিসউল বলেন, “অসংখ্য
পণ্যের গায়ে উপকরণের তালিকার সুগন্ধি হিসেবে দেখানো হয়। তাই যখনই কোনো সুগন্ধিযুক্ত
পরিষ্কারক উপাদান ব্যবহার করবেন, ধরে নিতে হবে এতে ‘ফ্যালেইটস’ আছে।”

বিপিএ

‘বিসফেনল এ’ মানুষ ও পশুপাখির জন্য ক্ষতিকর
উপাদান।

‘হার্ভার্ড স্কুল অফ পাবলিক হেল্থ’য়ের
‘এনভাইরোনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড অকুপেশনাল এপিডেমিওলজি’র অধ্যাপক রাস হসার বলেন,
“পানি ঠাণ্ডা করার বোতল থেকে টিনের কৌটার আস্তরণ পর্যন্ত অসংখ্য পণ্যে এই উপাদান থাকে।
সামান্যতম হলেও এই উপাদানের সংস্পর্শে আসা এড়ানো উচিত। তবে ব্যাপারটা মোটেই সহজ নয়।”

লেড

রং’য়ে এই উপাদান পাওয়া যায় বেশিমাত্রায়
যা লক্ষাধিক মানুষের ক্ষতি করছে প্রতিদিন। প্রতি বছরই শিশুদের মধ্যে ‘লেড পয়জনিং’ ধরা
পড়ে, যার কিছু খবরে আসে, আর বেশিরভাগই অজানা রয়ে যায়।

এই উপাদানের সংস্পর্শে আসার কারণে প্রাপ্তবয়স্কদের
মাঝেও দেখা দেয় উচ্চ রক্তচাপ, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরানো, নড়াচড়া ক্ষমতা কমে যাওয়া, অবসাদ,
স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া ইত্যাদি।

সামান্য ‘লেড’ অনেক বড় সমস্যার কারণ হতে
সক্ষম।

কীটনাশক

সবজি, ফল ইত্যাদি ফলাতে কীটনাশক ব্যবহার
হয় বিভিন্ন মাত্রায়।

‘অর্গানিক’ না হলে এসব কাঁচা খাবার থেকে
শরীরে প্রবেশ করে ক্ষতিকর উপাদান।

‘আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিকাল নিউট্রিশন’য়ে
প্রকাশিত যুক্তরাজ্যের ‘নিউক্যাসেল ইউনিভার্সিটি’র স্কুল অফ এগ্রিকালচার, ফুড অ্যান্ড
রুরাল ডেভেলপমেন্ট’য়ের করা গবেষণার সহকারী গবেষক ড. কার্লো লিফার্ট বলেন, “কিছু ‘সিনথেটিক
পেসটিসাইড’ খাবার এবং মানুষের মূত্রে পাওয়া যায়। এ থেকে শরীরের ওজন ও ক্যান্সারের ঝুঁকি
বাড়ে।”

এয়ার ফ্রেশনার্স

ঘরের বাতাসের সুগন্ধ ছড়ায় ঠিকই তবে সঙ্গে
ক্ষতির মাত্রাও থাকে।

এই বিষয়ে সাবধান করে দিয়ে ‘ইউনিভার্সিটি
অফ ম্যাসাচুসেটস অ্যামহার্স্ট’ জানায়, “ঘরের বদ্ধ বাতাসে এয়ার ফ্রেশনার্স যোগ করতে
পারে ক্ষতিকর দূষিত উপাদান।”

বাতাসে উবে যাওয়া যৌগ বা ‘ভোলাটাইল অর্গানিক
কম্পাউন্ডস (ভিওসি)’য়ের মধ্যে থাকে- ফর্মাল্ডাহাইড, অ্যাসাটাল্ডাহাইড, বেনজিন, টলিউইন,
ইথাইল বেনজিন, জাইলিন- যা ঘরের বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।

এদের গন্ধ আলাদাভাবে চেনা না গেলেও নাকে,
গলায়, চোখে অস্বস্তি তৈরি করার পাশাপাশি মাথাব্যথা ও বিতৃষ্ণার অনুভূতি তৈরি করতে পারে।

আরও পড়ুন

ফেইসবুকের ক্ষতিকর প্রভাব
 

ঘর থেকে কাজ করলে যেভাবে বসা ঠিক না
 

ঘরের দূষণ দূর করতে
 

ঘরেই আছে যেসব বিষ
 

যেসব জিনিস ফেলে দেওয়া উচিত