সোমবার ডিএসইর
প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩৪ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৪৩০ দশমিক ৯৩
পয়েন্ট হয়েছে।
এ পতন গত ২ মাস ৯ দিনের মধ্যে
সবচেয়ে বেশি। এর আগে এর চেয়ে বড় পতন হয় গত ৭ মার্চ। সেদিন সূচক কমেছিল ১৮২ দশমিক
১২ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহের শেষ দিক থেকেই পুঁজিবাজারে
পতনের হাওয়া চলছে। টানা চার দিনে ডিএসই সূচক কমেছে ২৬৭ দশমিক ৪ পয়েন্ট।
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক পুঁজিবাজার বিশ্লেষক মোহাম্মদ মুসা বিডিনিউজ
টোয়েন্টি ফোর ডটকমকে বলেন, “বাজারে কিছুটা আতঙ্ক কাজ করছে। রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ,
দেশে দ্রব্য মূল্য বেড়ে যাচ্ছে। তেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে। ডলারের দাম বেড়ে যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অবস্থা… সব মিলিয়ে বিনিয়োগকারীরা ভয় পেয়ে গেছে।”
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন
অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি রিচার্ড ডি’রোজারিও বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ছোট বিনিয়োগকারী বেশি।তারা খুব
সহজেই ভয় পেয়ে যায়, আবার লোভে পড়ে যায়। দেখা যায়, একটু খারাপ খবর পেলেই তারা শেয়ায়
বিক্রি করে দেয়। আবার ভাল অবস্থা দেখলে অনেক বেশি দামে শেয়ার কিনে।
“বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যখন পর পর
দুই দিন ঋণের মার্জিন বাড়ানোর পাশাপাশি রিজার্ভ কমে যাওয়ার খবর আসে; সেগুলো দেশের বিনিয়োগকারীদের
আতঙ্কিত করছে।তারা ভয় পেয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট একজন বলেন, “বাংলাদেশে সামনে মূল্যস্ফীতি
বাড়তে পারে এবং ডলারের দাম বেড়ে যেতে পারে- এই খবরে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রি
বেড়ে যেতে পারে।
“কারণ ডলারের দাম বেড়ে গেলে বিদেশি
বিনিয়োগকারীদের মুনাফা ফেরত নিতে গেলে ক্ষতির মধ্যে পড়বেন।”
তার কথায়, মূল্যস্ফীতি
বাড়লে সুদের হার বাড়বে, সেটার প্রভাব পুঁজিবাজারে আসবে। আর ডলারের দাম বেড়ে গেলে যেসব
কোম্পানি বাইরে থেকে পণ্য কিনে এনে দেশে বিক্রি করে, তারা ক্ষতির মধ্যে পড়বে। সব মিলিয়ে দেশের পুঁজিবাজারে এর প্রভাব পড়ছে।
ঢাকার বাজারে এদিন ১ হাজার ২৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে,
যেখানে বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা ছিল ৮২৩ কোটি ৩৬
লাখ। অর্থাৎ, শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়ে গেছে।
ডিএসইতে মোট ৩৮১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট হাতবদল হয়েছে সোমবার। এর মধ্যে ২৬টির দর বেড়েছে, ৩৪৮টির কমেছে এবং ৭টির
দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
ঢাকার অন্য দুই সূচকের মধ্যে
ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ২১ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪১০ দশমিক ২৯ পয়েন্ট
হয়েছে। আর ডিএস৩০ সূচক ৪০ দশমিক ৯৯
পয়েন্ট কমে হয়েছে ২ হাজার ৩৬৫ দশমিক
৯২ পয়েন্ট।