ক্যাটাগরি

সাভারে বিরিয়ানির মাংস নিয়ে সন্দেহ, হোটেল মালিক কারাগারে

অভিযোগ পেয়ে রোববার মধ্যরাতে আশুলিয়ার নরসিংহপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ‘আল্লাহর দান বিরিয়ানি হাউজ-৫’ দোকান থেকে মালিককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান আশুলিয়া থানার এসআই সুব্রত রায়।

গ্রেপ্তার রাজীব বরিশাল জেলার মুলাদি থানার নুনচর গ্রামের চুন্ন হাওলাদারের ছেলে।

এসআই আরও বলেন, “তবে কেউ মামলা না করায় সোমবার দুপুরে রাজীবকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

“যেহেতু বিরিয়ানিতে কিসের মাংস দেওয়া হয়েছে সেটি এখনও নিশ্চিত হয়নি, তাই পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তীতে মামলা ও আইনগত প্রক্রিয়া নেওয়া হবে।”

‘আল্লাহর দান বিরিয়ানি হাউজ’-এর আশুলিয়ায় সাতটি শো-রুম আছে। ৫ নম্বর শো-রুমটি এক বছর আগে চালু করা হয়েছে। এখানে দৈনিক ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার বিরিয়ানি বিক্রি হয় বলে মালিকপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। 

ওই দোকানের বিরিয়ানির ক্রেতা রূপালী বেগম বলেন, “রোববার দুপুরে ছেলের জন্য এই দোকান থেকে কাচ্ছি বিরিয়ানি কিনে বাসায় নেই। বিরিয়ানি ভালো না বলে খেতে পারছিল না। এরপর দেখি মাংসের হাড় খুব চিকন। তখন আমার সন্দেহ হয়, এটা গরু মাংস কিনা।”

“পরে তাদের দোকানে যাই। শুধু জানতে চেয়েছি, এটা গরু নাকি খাসির মাংস? তারা বলে, আমরা গরুর মাংস দিয়ে বিরিয়ানি রান্না করি। এরপর চলে আসি। এটা আমি স্থানীয় ওষুধের দোকানি শরীফকেও বলেছিলাম।”

আরেকজন ক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, “তেহারি খাওয়ার সময় দেখি হাড় চিকন ও মাংস দেখতে অনেকটা কালো। জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, বেশি রান্না করা হয়েছে বলে মাংস একটু কালো হয়েছে। পরে আমি না খেয়ে দাম দিয়ে চলে যাই।”

‘আল্লাহর দান বিরিয়ানি হাউজ-৫’ শাখার দায়িত্বরত সায়েদ হোসেন বিল্লাল বলেন, “কুকুরের মাংস বলে কিছু মানুষ চক্রান্ত করে আমাদের ফাঁসিয়েছে। আমরা বলেছি, ল্যাবে পরীক্ষা করে যদি কুকুরের মাংস পাওয়া যায় তাহলে যে শাস্তি দিবেন, আমরা তাই মাথা পেতে নিব।

“কিন্তু কিছু মানুষ ও স্থানীয় কিছু সাংবাদিক এই কাজ করেছে। অনেক অনুরোধ করেছি। মিটমাটের জন্য টাকা দাবি করেন তারা। টাকা দেইনি বলে তারা পুলিশ এনে দোকানের মালিক রাজীবকে আটক করতে বাধ্য করেন।”

আশুলিয়া থানার এসআই সুব্রত বলেন, “আলামত হিসেবে মাংস জব্দ করে পরীক্ষার জন্য উপেজলা ভেটেরিনারি সার্জনের কাছে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে বিরিয়ানিতে কিসের মাংস ছিল।”

সাভার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, “আশুলিয়া থানা থেকে মাংস পরীক্ষার জন্য যোগাযোগ করা হয়েছে। আমাদের এখানে সম্ভব না হলে প্রয়োজনে ঢাকায় ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।”