ক্যাটাগরি

‘দিনে অটো চালান, রাতে করেন ডাকাতি’

নারায়ণগঞ্জের
সোনারগাঁও থানার সোনাখালী এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ডাকাতির প্রস্তুতির
সময় ধারালো অস্ত্র ও ককটেলসহ গত রোববার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এরা
হলেন- আজিজুল ইসলাম (১৮), সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইদুর (২০), মো. হৃদয় (১৮), তালিফ
হোসেন (২৩), রাজু আহম্মেদ (২২) এবং মো. ফারুক (১৯)। এদের সবার বাড়ি সোনারগাঁ এবং
বন্দর থানা এলাকায়।

সোমবার
র‌্যাব ১১ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংঘবদ্ধ চক্রটি ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কে চলাচলকারী গাড়িগুলোকে টার্গেট করে ডাকাতি করে আসছিল।

“গভীর
রাতে সোনারগাঁও থানার বিভিন্ন নির্জন স্থানে গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে ব্যারিকেড
সৃষ্টি করে চলন্ত গাড়ির গতিরোধ করে অতর্কিতভাবে হামলা করে। ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে
ভয়ভীতি ও আতঙ্ক তৈরি করে ডাকাতি শেষে সিএনজি অটোরিকশা বা মোটরসাইকেলে দ্রুত পালিয়ে
যায়।

“এই
ডাকাত দলের সদস্যরা ডাকাতি করতে গিয়ে কখনও কখনও জনসাধারণকে মারধর, ছুরিকাঘাত ও
গাড়ি ভাঙচুরসহ গুরুতর জখম এমনকি প্রাণনাশের মতো ঘটনাও ঘটিয়ে থাকে।”

গ্রেপ্তার
তরুণদের মধ্যে কয়েকজন অটো চালান। কেউ বেকার। আবার মাদক মামলার আসামিও আছেন একজন।

অভিযানের
সময় তিনটি ককটেল, দুটি চাইনিজ কুড়াল, একটি চাপাতি, দুটি ছোড়া, দুটি লোহার রড, ছয়টি
টর্চ লাইট ও দুটি লোহার পাইপ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে র‌্যাব।

তাদের
কাছ থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতের কবলে পড়া গাজীপুরের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি
অব টেকনোলজির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ মাহবুব আলমের
মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করা হয়।

গত ৩১ মার্চ স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং
ভাগ্নিকে নিয়ে ঢাকা থেকে গাড়ি চালিয়ে কক্সবাজার যাওয়ার পথে মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজা
থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে মোগরাপাড়া এলাকায় ডাকাতের কবলে পড়েন অধ্যাপক মাহবুব।

তখন পুলিশ জানায়, এটা ‘থাবা
পার্টি’র কাজ। সাধারণত ‘থাবা পার্টি’র
সদস্যরা যানজটে আটকে থাকা গাড়িতে হামলা চালালেও অধ্যাপক মাহবুব বলেন, “গাছের
ডাল ফেলে তার চলন্ত গাড়ি আটকে ডাকাতি করা হয়েছে।”

এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে
বিমানবন্দর থেকে কুমিল্লা যাওয়ার পথে একই এলাকায় যানজটে দাঁড়ানো অবস্থায় ডাকাতের
কবলে পড়েন দুটি গাড়িতে থাকা তিন প্রবাসী।

ওই ঘটনায় পুলিশ প্রথমে তাদের মামলা
নেয়নি। এক সপ্তাহ পর এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে সোনারগাঁও থানায় মামলা
নেওয়া হয়।

তখন পুলিশ
জানিয়েছিল, ওই এলাকায় ডাকাতি ঠেকাতে তৎপরতা বাড়ানো হবে। তবে এরপর আরও অনেকগুলো
ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া যায়।