ক্যাটাগরি

ফখরুলকে ‘বিশ্বচোরের মুখপাত্র’ বললেন হাছান মাহমুদ

সোমবার দুপুরে জাতীয় জাদুঘরে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত
চেয়ারম্যান ও তার ভাই অর্থ পাচারের দায়ে আদালতে দণ্ডিত, যাদের চেয়ারপারসন
বেগম খালেদা জিয়া কালো টাকা সাদা করেছেন, যাদের
আমলে দেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়; তাদের
মুখে অর্থপাচার নিয়ে কথা বলার অধিকার নাই।”

বিএনপি
নেতাদের অর্থপাচারের বর্ণনা দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “দুর্নীতির
কারণে তারা তো বিশ্বচোর ছাড়া কিছু নয়।

“এবং বয়সে আমার জ্যেষ্ঠ ফখরুল সাহেবের প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই আমি অপ্রিয়
হলেও সত্য একটি কথা বলতে চাই,
তিনি সেই বিশ্বচোরের
মুখপাত্র। সুতরাং বিশ্বচোরদের মুখপাত্রের এই কোনো কথা বলার অধিকার নাই।”

বিএনপির
আরও অনেকের অর্থপাচারের তথ্য অপ্রকাশিত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শ্রীলঙ্কার
দুর্দশার সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনাকে বিএনপির ‘অনর্থক
অপপ্রচার’ বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।

‘ঐতিহাসিক ১৭ই মে শেখ হাসিনার স্বদেশ
প্রত্যাবর্তন: মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রে
উত্তোলন এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগের
বন ও পরিবেশ উপ-কমিটি।

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশে
গণতন্ত্র বাক্সবন্দি থেকে মুক্ত হয়েছে।

“তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি এসেছে, মুক্তিযুদ্ধের
চেতনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্নের বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি, আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার
হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে।”

প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, “শেখ হাসিনা আসার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল।”

বাংলা একাডেমির সভাপতি ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, “শেখ হাসিনা আমাদের কাছে একটি প্রস্ফুটিক ফুল। তিনি দেশে এসে আমাদের জাতি
সত্তাকে আলোকিত করেছেন, নিজের সৌরভ, চেতনা
ও জ্ঞান দিয়ে আলোকিত করেছেন। ’৮১ সালে তিনি দেশে বাংলাদেশের মানুষকে আলোকিত করেছেন, এটা আমাদের গৌরব।”

সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায় বলেন,
“তিনি
দেশে ফিরে না এলে অনেক আগেই বাংলাদেশ পাকিস্তানের মত ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হত।”

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বন ও পরিবেশ উপ কমিটির চেয়ারম্যান
অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে এবং আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক উপ
কমিটির সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় সূচনা বক্তব্য রাখেন ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ
সামাদ।

আরও
বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক
সাদেকা হালিম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের
উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান।