৬৯ রানে স্লিপে একবার ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি, সেটি ধরতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়। ১২৯ রানে ফের ক্যাচ দিয়ে বাঁচেন ম্যাথিউস, এবার যে কেউ বুঝতেই পারেননি ক্যাচ ছিল। বাংলাদেশকে দিতে হয় এর চড়া মাশুল।
ধারাবাহিকতা খুঁজে ফেরা খালেদের সেই ডেলিভারি ছিল দারুণ। অফ স্টাম্পের বাইরে লেংথ বল, পড়ার পর আরও বেরিয়ে যাচ্ছিল। খেলবেন না ছাড়বেন দ্বিধায়ই হয়তো খোঁচা মেরে দেন ম্যাথিউস। উইকেট হতে হতেও হলো না দেখে ভীষণ হতাশ দেখায় লিটন ও খালেদকে।
পরের ওভারের মাঝপথে রিপ্লে দেখানোর পরই জানা যায়, আউট ছিলেন ম্যাথিউস! বেঁচে গিয়ে দলকে চারশ রানের কাছে নিয়ে যান তিনি। নিজে পৌঁছে যান ডাবল সেঞ্চুরির কাছে। নাঈম হাসানের বল উড়িয়ে মারার চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত থামেন ১৯৯ রানে।
দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধি হয়ে আসা অভিজ্ঞ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান জানালেন, তিনিও টের পাননি বল স্পর্শ করেছিল ব্যাট।
“সত্যি বলতে কি, সেই সময়ে আমি নিশ্চিত ছিলাম। কিছুটা বিস্মিত হয়েছিলাম। আমি কিছু শুনিনি, তাই লিটনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, সে কিছু শুনেছে কি না। যেহেতু আমিই কিছু শুনিনি, লিটনের শোনার কথা নয়। ক্রিকেটে এ সব ঘটেই।”
রিভিউ নেওয়া তো অনেক দূরের ভাবনা, বাংলাদেশ দলের কেউ তো আবেদনই করেননি। দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা অফ স্পিনার নাঈম হাসানও বললেন, কোনো শব্দই শোনেননি তারা।
“ওটা (ব্যাটে) লেগেছে, নিশ্চিত ছিলাম না। বাইরে থেকে মনে হয়, অনেক সহজ রিভিউ নেওয়া। কিন্তু যারা মাঝখানে থাকে তাদের জন্য কঠিন। কারণ একটা বল যেতে তো বেশি সময় লাগে না। মিলি সেকেন্ডের ভেতরে বল চলে যায়। ম্যাথিউসের যেটা বলছেন, কেউ বুঝি নাই, শব্দই হয় নাই।”
খালেদের বলে ব্যাটের ছোঁয়া বুঝতে না পারলেও ম্যাথিউস ভেবেছিলেন আরেকটি বলে তিনি কট বিহাইন্ড হয়েছেন।
“তাইজুলের একটা বল খেলার চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ার পর আমার মনে হয়েছিল, ব্যাটের কানায় লেগে গিয়েছে। আসলে তা হয়নি। এমন কিছু মুহূর্ত আসে যখন ব্যাটসম্যান হিসেবে নিশ্চিত হওয়া যায় না।”