সোমবার মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের
ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে
বক্তৃতাকালে তিনি এ পরামর্শ দেন।
অর্থ পাচারকারী আওয়ামী লীগ নেতাদের নামের
তালিকা প্রকাশ করতে
রোববার দাবি তোলেন বিএনপি মহাসচিব। তার জবাবে ওবায়দুল
কাদের বলেন, “অর্থপাচারকারীর নামের তালিকা যদি প্রচার করতেই হয়, তাহলে সবার আগে আপনাদের
দলের দণ্ডিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান
তারেক রহমানের নাম চলে আসবে। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব, প্রমাণ দিয়ে কথা বলবেন। বাড়াবাড়ি
করবেন না, বেশি বাড়াবাড়ি ভালো নয়, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন।”
ভারতে গ্রেপ্তার পি কে
হালদারের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “তিনি আওয়ামী লীগের কেউ নয়, তবুও তিনি অর্থ পাচারকারী
হিসেবে চিহ্নিত, তার বিচার প্রক্রিয়া আইনের মাধ্যমে হবে
“
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
বলেন, “আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি এবং সন্ত্রাসের সাথে জড়িত, তাদের স্থান কোনোভাবেই আওয়ামী লীগে হবে না। ভালো লোক ও ত্যাগীদের দলে মূল্যায়ন করতে হবে।
“আওয়ামী লীগকে এখন থেকেই সুসংগঠিত, স্মার্ট রাজনৈতিক দল
হিসেবে গড়ে তুলে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিতে
হবে। পকেট ভারী করার জন্য খারাপ লোকদের দলে টানবেন না। ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না, ক্ষমতা চিরকাল থাকবে না।”
শেখ হাসিনা দেশে এসেছিলেন বলেই অবরুদ্ধ
গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, “শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জাতিকে
কলঙ্কমুক্ত করেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা
বাংলাদেশে এসেছিলেন বলেই পদ্মাসেতু আজ দৃশ্যমান, আগামী মাসেই এই সেতুর
উদ্বোধন করা হবে।”