সোমবার দুপুরে ভেড়ামারা শহরের নওদাপাড়ায় এ হামলা হয় বলে পুলিশ জায়েছে।
আহত মো. রিপন (২৮) ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের মধ্য পাড়ার মসজিদ মোড়ের নুরজামানের ছেলে।
তাকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. নুরুল আমীন জানান, দুপুরে রিপন নামে যে রোগী হাসপাতালে এসেছিল তার বাম পা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তা ছাড়া ডান পা, দুই হাত, মাথা ও পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখম ছিল।
এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
ঘটনাস্থল থেকে উপজেলার চাঁদগ্রাম পশ্চিম পাড়ার সোহেল রানার ছেলে সায়েম (২০) নামের এক যুবকসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিপন ভেড়ামারা শহরের নওদাপাড়ায় তার নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। সোমবার দুপুরে বাড়ি ফেরার পথে ঢাকা কোচ স্ট্যান্ড সংলগ্ন অটোরিকশা স্ট্যান্ডে এসে দাঁড়ান। এ সময় আচমকা ১০/১২ জন যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। তারা রিপনকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে ধাওয়া করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এ সময় সায়েম নামের এক যুককে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
আওয়ামী লীগ ও জাসদ সমর্থকদের পূর্ব বিরোধের জেরে এই হামলা হয়েছে বলে চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ দাবি করলেও পুলিশ বলছে, টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে।
ভেড়ামারা থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, টাকা লেনদেন নিয়ে ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্তসহ হামলাকারীদের ধরতে পুলিশি অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঁদগ্রামে উত্তেজনা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।