২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া আক্রমণ
শুরু করার পর থেকে ইউক্রেইনে ধারাবাহিক কয়েকটি সাফল্য পেয়েছে। রাজধানী কিইভমুখি রাশিয়ার
অগ্রগতি রুখে দিয়েছে এবং পূর্বাঞ্চলে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ থেকে রাশিয়ার বাহিনীগুলোকে
হটিয়ে দিয়েছে।
দনবাস নামে পরিচিত ইউক্রেইনের
পূর্বাঞ্চলীয় দুটি প্রদেশের দখল নিতে মধ্য এপ্রিল থেকে রাশিয়ার বাহিনীগুলো তাদের ফায়ারপাওয়ারের
ওপর জোর দিয়েছে।
ইউক্রেইনে আক্রমণ শুরু করার আগে
দনবাসের স্বঘোষিত দোনেৎস্ক গণপ্রজানতন্ত্র ও লুহানস্ক গণপ্রজাতন্ত্রের স্বাধীনতার স্বীকৃতি
দিয়েছে রাশিয়া।
এখন খারকিভ প্রদেশের রাশিয়া অধিকৃত
শহর ইজুমের আশপাশে সবচেয়ে তীব্র লড়াই হচ্ছে বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে ইউক্রেইনীয়
বাহিনীগুলেোর অবস্থানে তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে রাশিয়া জানিয়েছে।
আর ইউক্রেইনের জয়েন্ট ফোর্সেস
টাস্ক ফোর্স জানিয়েছে, রোববার তাদের সেনারা ১৭টি আক্রমণ প্রতিহত করেছে এবং রাশিয়ার
১১টি সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস করেছে। ইউক্রেইন বিমান বাহিনীর কমান্ড জানিয়েছে, ইউক্রেইনের
বাহিনীগুলো দুটি হেলিকপ্টার, দুটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও সাতটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
টাস্কফোর্স আরও জানায়, দোনেৎস্ক
ও লুহানস্কের পুরো ফ্রন্ট লাইন বরাবর বেসামরিক এলাকাগুলোতে ধারাবাহিক হামলা চালাচ্ছে
রাশিয়া, তারা ২৩টি গ্রাম ও শহরে গোলাবর্ষণ করেছে। রাশিয়া বেসামরিকদের লক্ষ্যস্থল করার
কথা অস্বীকার করেছে।
তবে দুপক্ষের এসব দাবি তারা স্বাধীনভাবে
যাচাই করতে পারেনি বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
ছবি: রয়টার্স
বার্তা সংস্থাটি বলছে, ইউক্রেইন
যদি ইজুম ও রাশিয়ার সরবরাহ লাইনের ওপর চাপ ধরে রাখতে পারে তবে দনবাসে ইউক্রেইনীয় বাহিনীগুলোকে
ঘেরাও করা রাশিয়ার সেনাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।
তবে ইউক্রেইনীয় সামরিক বাহিনী
তাদের বিপর্যয়ের কথাও স্বীকার করেছে। দনবাস অঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় রাশিয়ার বাহিনীগুলো
‘ধারাবাহিকভাবে অগ্রসর হচ্ছে’ বলে জানিয়েছে তারা।
ইউক্রেইনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,
শনিবার রাতে পোল্যান্ডের কাছে পশ্চিম ইউক্রেইনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কিছু সামরিক
অবকাঠামো গুড়িয়ে দিয়েছে এবং কৃষ্ণ সাগর থেকে লভিভে গোলাবর্ষণ করেছে।
দক্ষিণাঞ্চলীয় মাইকোলায়িভের আঞ্চলিক
কাউন্সিল জানিয়েছে, সেখানে ১০ বেসামরিক আহত হয়েছেন।
রোববারও মারিউপোলের ইস্পাত কারখানায়
রাশিয়ার বোমা হামলা অব্যাহত ছিল। রাশিয়ার বাহিনীগুলোর হাতে মারিউপোল শহরের পতন হলেও
এই কারখানাটির ভূগর্ভস্থ বাংকার ও টানেলগুলোতে কয়েকশ ইউক্রেইনীয় সেনা কয়েক সপ্তাহ ধরে
অবরুদ্ধ হয়ে আছে।
আরও পড়ুন:
রাশিয়ার দখল থেকে ইউক্রেইনের গ্রামকে বাঁচিয়েছে বন্যা
নেটো সদস্যপদের জন্য আবেদন: ফিনল্যান্ডের সঙ্গে যোগ দিল সুইডেনও