সাকিবের বোলিংয়ে নানা বৈচিত্র যোগ হয়েছে নানা সময়ে। ক্রিজের ব্যবহার, গতি বৈচিত্র, অ্যাকশনের বৈচিত্র, ফ্লাইট, লুপ ও ড্রিফটের কার্যকারিতা তো ছিলই, একসময় তার আর্ম ডেলিভারি ছিল ব্যাটসম্যানের জন্য বিপজ্জনক। গত কয়েক বছরে অবশ্য তার সেই আর্ম ডেলিভারি ততটা ধারাল মনে হয়নি। তবে অভিজ্ঞতা দিয়ে আর বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং দিয়ে ঠিকই কার্যকর হওয়ার পথ তিনি বের করেছেন।
ইদানিং দেখা যাচ্ছে তার এই রিস্ট স্পিন ডেলিভারি। গত ডিসেম্বরে পাকিস্তান সিরিজে এই ডেলিভারি কয়েকটি করতে দেখা যায় তাকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলতি চট্টগ্রাম টেস্টে এই ডেলিভারি আরও বেশি করতে দেখা যায় তাকে, বিশেষ করে টেস্টের দ্বিতীয় দিনে। ফিঙ্গার স্পিনারদের প্রায় একই অ্যাকশনে ‘রং আন’ ডেলিভারি এটি নয়, বরং লেগ স্পিনারদের মতোই কবজির মোচড়ে বল ছাড়েন তিনি।
এই টেস্টে ১৯৯ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলা ম্যাথিউস দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বললেন, সাকিবের এই ডেলিভারি তিনি আগে দেখেননি।
“আমরা জানি যে সাকিব দারুণ অভিজ্ঞ সেনানী। যে ডেলিভারিই হোক না কেন, সে ঠিক জায়গায় বল রাখে। আমি প্রথমবার দেখলাম তাকে দুটি রং আন ডেলিভারি করতে, বলা উচিত ‘চায়নাম্যান।’ এই দুটিতেও তার নিশানা বেশ ভালো ছিল। তার যে অভিজ্ঞতা, সেখান থেকেই সে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হচ্ছে। খুব ভালো বল করেছে সে।”
ম্যাথিউসকে ছাড়াও দিনেশ চান্দিমাল, বিশ্ব ফার্নান্দোকেও সাকিব এ দিন করেছেন এই ডেলিভারি। চান্দিমাল তো বেশ চমকে যান প্রথমটিতে। বিশ্ব ফার্নান্দোকে করা একটি রিস্ট স্পিন টার্ন করে অনেকটুকু।
নাঈম হাসান এই ইনিংসে ৬ উইকেট নিলেও বাংলাদেশের সেরা বোলার ছিলেন নিঃসন্দেহে সাকিব আল হাসান। ৩৯ ওভার বোলিং করে মাত্র ৬০ রান দিয়ে নেন তিনি তিন উইকেট।