অনেক সম্ভাবনা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরুর পর এনামুলের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার থমকে আছে অনেক দিন ধরেই। ৩৮ ওয়ানডে ও ১৩ টি-টোয়েন্টি খেলা কিপার-ব্যাটসম্যান সবশেষ বাংলাদেশ দলে খেলেছেন ২০১৯ বিশ্বকাপের পরপর শ্রীলঙ্কায় ওয়ানডে সিরিজে। টি-টোয়েন্টি সবশেষ খেলেছেন সেই ২০১৫ সালে।
২০১২ সালে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দারুণ শুরুর পর পথ হারান এনামুল। পরে কয়েক দফায় সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। তবে এবার ঘরোয়া একদিনের ম্যাচের টুর্নামেন্ট ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে অসাধারণ পারফরম্যান্সে হইচই ফেলে দেন তিনি। ১৫ ম্যাচে ৮১.২৮ গড় ও ৯৮.৬১ স্ট্রাইক রেটে রান করেন ১ হাজার ১৩৮।
ঢাকা লিগ লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাওয়ার পর এক আসরে আগের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল ৮১৪।
অসাধারণ এই ধারাবাহিকতার পর তাকে নিয়ে আলোচনা চলছে তুমুল। সেই দোলায় আন্দোলিত নির্বাচকরা।
দল ঘোষণা যদিও নির্বাচকদের কাজ, তবে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধানই অগ্রণী হলেন। চট্টগ্রামে মঙ্গলবার বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট চলার সময় জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জালাল ইউনুস নিশ্চিত করে দিলেন, এনামুল ফিরছেন।
“বিজয় (এনামুল হক) ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে আছে। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজে থাকবে আশা করি। এটা নির্বাচকদের ব্যাপার, তারা বিবেচনা করছেন। তবে আমার মনে হয়, বিজয় অবশ্যই টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে থাকছে।”
এনামুলের ক্যারিবিয়ায় যাত্রা নিশ্চিত হলেও অনিশ্চিত তাসকিন। কাঁধের চোটে মাঠের বাইরে থাকা ফাস্ট বোলার সম্প্রতি লন্ডনে গিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখান। জালাল ইউনুস যা বললেন, তাতে তাসকিনকে সফরের শুরুর ভাগে অন্তত পাওয়ার সম্ভাবনা কমই।
“আজকে থেকে ওর রিহ্যাব শুরু হলো। ওখানে (লন্ডন) চিকিৎসক বলেছেন যে ওর সার্জারি লাগবে না। রিহ্যাব করিয়ে ওকে রিকভার করানোর চেষ্টা করা হবে। রিকভার হয়ে গেলে ভালো, তবে সেটা হতেও ৬ সপ্তাহের মতো সময় লাগবে। তাসকিন যদি (ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যেতে) না পারে, সম্ভাব্য বিকল্প পেসার নিয়ে আমাদের আলাপ-আলোচনা হয়েছে।”