আগামী ৮ জুন মালয়েশিয়ার কুয়ালা লামপুরে শুরু হবে এশিয়ান কাপের বাছাই। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় মাঠের প্রস্তুতি শুরু করেছে দল। ক্যাম্পে যোগ দিতে গ্রামের বাড়ি বগুড়া থেকে এলেও কোচের সাড়া না মেলায় সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিতে পারেননি।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের টিম ম্যানেজার ইকবাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নির্ধারিত সময়ে রিপোর্টিং না করায় জীবনকে আপাতত ক্যাম্প থেকে বাদ দিয়েছেন কোচ।
“গতকাল খেলোয়াড়দের রিপোর্টিং করার কথা ছিল। তবে জীবন রিপোর্টিং করেনি। আজকেও সে দেরি করে এসেছে। ডিসিপ্লিনের ব্যাপারে কোন ছাড় দিতে রাজী নন। এ কারণে তাকে ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেননি। আপাতত তাকে ক্যাম্প থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কোচ নতুন করে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের ফরোয়ার্ড সাজ্জাদ হোসেনকে ডেকেছেন।”
জীবন অবশ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ‘ভুল বোঝাবুঝি’র কারণে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। আবাহনী লিমিটেডের এই ফরোয়ার্ডের দাবি, ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার বিষয়ে কারো কাছ থেকে কোনো বার্তা পাননি তিনি।
“জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরুর আগে সবসময় ফোন অথবা মুঠোফোনে বার্তা দেওয়া হয়। সেটা এবার আমি পাইনি। ফলে ক্যাম্প শুরুর বিষয়টা আমি জানতাম না। ইকবাল ভাই (টিম ম্যানেজার) আমাকে ফোন দিয়েছিলেন গতকাল সন্ধ্যার পর। জানতে চেয়েছিলেন আমি কোথায় আছি। তখন আমি বগুড়ার গ্রামের বাড়িতে। এটা শুনে তড়িঘড়ি করে রওনা দিয়েছি। রাস্তায় যানজট ছিল, তাছাড়া ঝড় হওয়ায় দেরি হয়েছে। ক্যাম্পে আসার পর কোচ আমাকে ক্যাম্পে যোগ দিতে নিষেধ করেন।”
“আমি কোচকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। তাই আমি চলে এসেছি। এরপর বাফুফেতে যোগাযোগ করেছিলাম। সেখান থেকে বলা হয়েছে, আমার সঙ্গে নাকি যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে গ্রামের বাড়িতে থাকায় হয়তো তারা আমাকে ফোনে পাননি। কোচ বলেছেন বাফুফের কাছে যা বলার বলতে। ক্যারিয়ারে কখনোই এমনটা হয়নি। শুধু একটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে এটা হয়েছে।”