একই সময়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ১ দশমিক ১
শতাংশ কমে গেছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা আর দেশে ডলারের দাম বৃদ্ধিসহ
বিভিন্ন খবরে আতঙ্ক ভর করেছে দেশের পুঁজিবাজারে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার আশ্বাসেও
বিনিয়োগকারীদের শঙ্কা কাটছে না।
মঙ্গলবার বেলা ১টা পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৭৩
দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৫ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৩৫৭ দশমিক ১৭ পয়েন্ট
হয়।
ওই সময় পর্যন্ত চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের চেয়ে ২০৬
দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১০ শতাংশ কমে ১৮ হাজার ৬৬০ দশমিক ৫৩
পয়েন্টে নেমে আসে।
গত সপ্তাহের শেষ দিক থেকেই পুঁজিবাজারে পতনের হাওয়া চলছে। সোমবার পর্যন্ত
টানা চার দিনে ডিএসই সূচক কমেছে ২৬৭ দশমিক ৪ পয়েন্ট বা ৪
শতাংশ।
ঢাকার বাজারে ওই সময় পর্যন্ত ৫০১ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। মোট ৩৭৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের
ইউনিট হাতবদল হয়েছে,
যার মধ্যে ৫০টির দর বেড়েছে, ২৯২টির কমেছে এবং ৩৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) তিন ঘণ্টায় ২৬৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ৪০টির দর বাড়ে, ২০৬টির কমে এবং ২০টির
দর অপরিবর্তিত থাকে।
এ বাজারে তখন পর্যন্ত ১৮ কোটি ৪১ লাখ টাকারে শেয়ার লেনদেন হয়।
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স
বিভাগের অধ্যাপক পুঁজিবাজার বিশ্লেষক মোহাম্মদ মুসা বিডিনিউজ টোয়েন্টি ফোর ডটকমকে
বলেন, “বাজারে
কিছুটা আতঙ্ক কাজ করছে। রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ, দেশে দ্রব্য মূল্য বেড়ে যাচ্ছে।
তেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে। ডলারের দাম বেড়ে যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অবস্থা… সব মিলিয়ে বিনিয়োগকারীরা ভয় পেয়ে গেছে।”
আতঙ্ক কমাতে বিভিন্ন আশ্বাস দেওয়া
হচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার
তরফ থেকে।
বংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড
এক্সচেঞ্জ কমিশন মঙ্গলবার জানিয়েছে, বাজার ধরে রাখতে শেয়ার কিনবে ইনভেস্টমেন্ট
কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। তবে সে আশ্বাসের
তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিফলন বাজারে দেখা যায়নি।