সোমবার দুপুরে বেনাপোল
আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সম্মেলন কক্ষে একটি জরুরি সভায় আলোচনার পর এ
সিদ্ধান্ত হয়।
সন্ধ্যায় বেনাপোল
ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ কথা জানান।
বেনাপোল স্থলবন্দরে পর্যাপ্ত ক্রেন ও
ফর্কলিফটের ব্যবস্থা না করলে ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি মঙ্গলবার [১৭ মে]
থেকে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল।
শনিবার দুপুরে বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক
মো. আজিম উদ্দিন গাজী সাংবাদিকদের এ কথা জানান। সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনও তাদের এ
দাবিকে সমর্থন জানিয়েছিল।
বেনাপোলে ক্রেন-ফর্কলিফটের স্বল্পতা, পণ্য পরিবহন বন্ধের হুঁশিয়ারি
আজিম উদ্দিন গাজী বলেন,
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে যৌথ আলোচনায় পাঁচ দফা শর্ত বাস্তবায়নের অঙ্গীকারের
শর্তে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শর্তসমুহ হলো:
১. বন্দর কর্তৃপক্ষ আগামী ৩১মের মধ্যে বেনাপোল বন্দরে ৩টি ক্রেন ও
৩টি ফর্কলিফট সংযুক্ত করবে।
২. অদক্ষ ক্রেন ও ফর্কলিফট চালক পরিবর্তন করে বন্দর কর্তৃপক্ষ
আগামী ৩১মের মধ্যে দক্ষ চালক নিয়োগ দেবে।
৩. প্রত্যেক চালককে সকাল ৯টার মধ্যে কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে।
৪. প্রতিদিন বিকেল ৩টা পর্যন্ত ক্রেন ও ফর্কলিফটের সিরিয়াল গ্রহন
করবেন এবং সিরিয়াল অনুযায়ী বিরতিহীন ভাবে কাজ করতে হবে।
৫. বন্দর কর্তৃপক্ষ আগামী ১৫জুলাই এর মধ্যে বন্দরের চাহিদা অনুযায়ী
ক্রেন ও ফর্কলিফট সংযুক্ত করবেন।
বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট
এজেন্সি মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মশিয়ার রহমান বলেন, আগামী ১৬ জুনের মধ্যে ৫ নম্বর শর্ত বাদে অন্যান্য শর্তগুলি
সঠিকভাবে না মানা হলে পরবর্তী সময়ে সমিতি আবার আন্দোলনে যাবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের
উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, “১৫ দিনের মধ্যে ক্রেন-ফর্কলিফটের
সমাধান ও দুই মাসের মধ্যে অন্যান্য সমাস্যার সমাধান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা
হয়েছে। আশা রাখছি, নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন হবে।”