সংস্থাটি বলছে, যুদ্ধ ও মহামারীর
কারণে বিশ্বে খ্যাদ্য সংকট দেখা দিতে শুরু করায় রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত প্রস্তুতকৃত
খাবারের উপাদানের দামেরও উল্লম্ফন ঘটেছে।
আগামী ছয় মাসের মধ্যে আরও তহবিল
যোগানো না গেলে ৬ লাখেরও বেশি শিশু প্রয়োজনীয় চিকিৎসা বঞ্চিত হতে পারে। বাদাম, তেল,
চিনি ও যোগ করা পুষ্টি উপাদান দিয়ে তাদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত উচ্চ ক্যালোরির খাবার
প্রস্তুত করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, এই কর্মসূচী অব্যাহত রাখতে আর কী পরিমাণ তহবিল প্রয়োজন ইউনিসেফ তা নির্দিষ্ট
করে জানায়নি।
তারা শুধু জানিয়েছে, বিশেষ পুষ্টিসমৃদ্ধ
এ ধরনের খাবারের একটি কার্টুনে ১৫০টি প্যাকেট ধরে, এগুলো দিয়ে মারাত্মক অপুষ্টিতে ভোগা
একটি শিশুকে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায় আর এতে গড়ে
প্রায় ৪১ ডলার ব্যয় হয়।
জলবায়ু পরিবর্তনসহ খাদ্য নিরাপত্তার
ওপর বিস্তৃত চাপের পাশাপাশি মূল্য বৃদ্ধি মারাত্মক অপুষ্টিকে ‘বিপর্যয়কর’ মাত্রার দিকে
নিয়ে যেতে পারে বলে এক বিবৃতিতে শিশু সংস্থাটি সতর্ক করেছে।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন
রাসেল বলেছেন, “বিশ্ব দ্রুত প্রতিরোধযোগ্য শিশু মৃত্যু ও অপুষ্টির শিকার শিশুদের একটি
কুণ্ডে পরিণত হচ্ছে।”
মারাত্মক অপুষ্টিতে ভোগা শিশুরা
তাদের উচ্চতায় তুলনায় অত্যন্ত শুকনা হয়। ৫ বছরের কম বয়সী এক কোটি ৩৬ লাখ শিশু এ ধরনের
অপুষ্টিতে ভুগছে এবং এদের প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হচ্ছে।
তবে ইউক্রেইন যুদ্ধ এবং মহামারীর
আগেও এ ধরনের অপুষ্টিতে ভোগা প্রতি ৩ জন শিশুর ২ জন তাদের জীবন রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়
প্রস্তুতকৃত খাবারের নাগাল পেত না বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।