পশ্চিমাঞ্চল
রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও কম খরচে
আম পরিবহনের জন্য ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’ চালু করা হবে। ২২ থেকে ২৫ মের মধ্যে এক
জোড়া ট্রেন চালু হবে।
আম
নিয়ে রহনপুর-চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী হয়ে ট্রেনটি ঢাকায় যাবে। আবার ঢাকা থেকে
রাজশাহী হয়ে রহনপুর ফিরে আসবে। পশ্চিম রেলের এই বিশেষ ট্রেন শাক-সবজিসহ অন্যান্য
ফলমূল ঢাকায় নিয়ে যাবে।
অসীম
কুমার আরও বলেন, “গুটি জাতের আমের যেহেতু ঢাকায় তেমন চাহিদা নেই তাই ২০ তারিখের পর
গোপালভোগসহ মিষ্টি জাতের আম পাড়া শুরু হলে তখন ট্রেন চালু হবে। চাষিদের সঙ্গে কথা
বলে ট্রেনের নির্দিষ্ট তারিখ ও সময় জানানো হবে।”
প্রতি
কেজি আমে ভাড়া কত হবে জানতে চাইলে রেলের এই কর্মকর্তা বলেন, সাধারণত ভাড়া এবং
ট্রেনের সময় পরিবর্তন হবে না। গতবারে যা ছিল তাই হবে। তবে সভা করে ঠিক করা হবে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যদি পরিবর্তন হয়, তাহলে জানিয়ে দেওয়া হবে।
বিশেষ
এই ট্রেনের সুবিধা সম্পর্কে তিনি বলেন, “কাঁচা বা আধাপাকা আম যেন গরম ও অতিরিক্ত
চাপে নষ্ট না হয়ে যায়, সে কারণে ধারণক্ষমতার কিছু কম পণ্য বহন করা হবে এবার।”
রেলওয়ে
কর্তৃপক্ষ জানায়, গত বছর প্রতিদিন দুপুর ২টায় রহনপুর থেকে ছেড়ে যায়। তারপর মালামাল
ভরে বিকাল সাড়ে ৪টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছাড়ে। তারপর রাজশাহী হয়ে রাত ১টায়
ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছায়।
আবার
রাত ২টা ১৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে রহনপুরে পৌঁছায় বেলা ১১টায়। পাঁচটি ওয়াগনে
ঢাকায় যায় রাজশাহী অঞ্চলের আম। গত বছর ২৫ মে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’ চালু হয়।
প্রতিটি
বগির ধারণক্ষমতা ৪৩ মেট্রিক টন হলেও আম বহন করা হয় ৩০ মেট্রিক টন। দেড়শ টনের মতো
আম পরিবহন করা হবে। শুধু আম নয়, আমের সঙ্গে শাকসবজিসহ অন্যান্য ফলমূলও ট্রেনে
পরিবহন হয় সেবার।
পশ্চিমাঞ্চল
রেলওয়ে আরও জানায়, ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন’টি রহনপুর-চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী হয়ে
ঢাকা এলেও ফেরার পথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থামবে না।
রহনপুর,
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও আমনুরা থেকে ঢাকা পর্যন্ত প্রায় ৪০০ কিলোমিটার পথের জন্য প্রতি
কেজি আম পরিবহনের ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে এক টাকা ৩০ পয়সা।
আর
রাজশাহী থেকে ঢাকা পর্যন্ত ৩৪৩ কিলোমিটার পথের জন্য প্রতি কেজি আমে ভাড়া দিতে হবে
এক টাকা ১৭ পয়সা।