সোমবার রাতে কচুয়ার সাচার শ্রীশ্রী জগন্নাথ
ধাম মন্দিরে কুমিল্লার মেয়ে চল্লিশোর্ধ্ব শিউলি রাণীর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন ফণিভূষণ।
এ সময় ফণিভূষণের ছেলে, নাতি-নাতনি, আত্মীয়-স্বজন,
রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে গাড়িতে কনেকে
নিয়ে কচুয়া পৌরসভার কড়ইয়া গ্রামের বাড়িতে ফিরেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি।
ফণিভূষণের বিয়ে নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতুহলের
সৃষ্টি হয়েছে। শত শত মানুষ বিয়ে দেখতে মন্দিরে ভিড় করেন। অনেকে নবদম্পতির ছবি সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন।
ফণিভূষণ মজুমদার তাপুর দুই ছেলে ও এক মেয়ে
রয়েছে। এক ছেলে ও পুত্রবধূ চিকিৎসক। সব ছেলেমেয়ের বিয়ে হয়েছে, তারা নিজ নিজ পেশায় প্রতিষ্ঠিত।
ফণিভূষণের ওষুধের দোকান রয়েছে।
২০২১ সালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ফণিভূষণের
স্ত্রী আলো রানী মজুমদার ঢাকার একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। স্ত্রীর মৃত্যুর
দেড় বছর পর পরিবারের সদস্যদের আবদারে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তিনি।
ফণিভূষণ মজুমদার তাপু সাংবাদিকদের বলেন,
“গত বছর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আমার প্রথম স্ত্রী মারা যান। তার মৃত্যুর পর থেকে
আমি একাকিত্ব জীবন অতিবাহিত করছিলাম। একাকিত্ব কাটাতেই মূলত আমি পারিবারিকভাবে বিবাহবন্ধনে
আবদ্ধ হয়েছি।“
ফণীভূষণের নাতি অর্ঘ মজুমদার বলেন, “বাবা-মা
চিকিৎসক হওয়ায় তারা সবসময় ব্যস্ত থাকেন। ঠাকুমা আমাদের সময় দিতেন। দাদু ফার্মেসিতে
ব্যস্ত। খেলার সাথী নতুন ঠাকুমাকে পেয়ে আমরা মহাখুশি।“