ক্যাটাগরি

টুইটারের দাম কমানোর ইঙ্গিত মাস্কের কণ্ঠে

প্ল্যাটফর্মটিতে ভুয়া অ্যাকাউন্টের সংখ্যা কোম্পানির নিজস্ব হিসাবের অন্তত চার গুণ হতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।

মায়ামিতে আয়োজিত এক সম্মেলনে মাস্ক বলেছেন, “তারা (টুইটার) যা দাবি করছে, তার চেয়েও খারাপ কিছুর জন্য আপনি একই দাম দিতে পারেন না।”

শুক্রবারেই স্প্যাম আর ভুয়া অ্যাকাউন্টের সঠিক হিসাবের অপেক্ষায় চার হাজার চারশ কোটি ডলারের অধিগ্রহণ চুক্তি ‘সাময়িকভাবে স্থগিত’ ঘোষণা করেছেন মাস্ক।

টুইটারের নিজের হিসাব বলছে, প্ল্যাটফর্মটিতে ভুয়া অ্যাকাউন্ট পাঁচ শতাংশের বেশি নয়। তবে, মাস্কের ধারণা টুইটারের মোট অ্যাকাউন্ট সংখ্যার ২০ শতাংশই ভুয়া।

প্রাথমিক প্রস্তাবের চেয়ে কম দামে টুইটার অধিগ্রহণ আদৌ সম্ভব কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে মাস্ক বলেন, “সেটাও প্রশ্নের বাইরে নয়।” – মায়ামির ‘অল-ইন সামিট ২০২২’ সম্মেলনে কথা বলছিলেন মাস্ক।

“আমি যতো বেশি প্রশ্ন করছি, আমার শঙ্কা ততো বাড়ছে।”

“তারা দাবি করছে যে তারা একটি জটিল গবেষণা পদ্ধতি ব্যবহার করে যা কেবল তারাই বোঝে।” এটি মানুষের অবোধ্য কোনো জটিল রহস্য হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন মাস্ক।

অন্যদিকে, মাস্কের এই বক্তব্যের পর শেয়ার বাজারে টুইটারের শেয়ার দাম নেমে এসেছে ৩৮ ডলারের নিচে। যা এপ্রিল মাসে মাস্ক টুইটারের ৯ শতাংশ শেয়ার কেনার ঘোষণা দেওয়ার আগের দামের চেয়েও কম।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, মাস্কের সাম্প্রতিক বক্তব্যে তিনি আদৌ প্রস্তাবিত মূল্যে টুইটার কিনবেন কি না, সে বিষয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা।

অন্যদিকে, সোমবারেই ভুয়া অ্যাকাউন্ট নিয়ে মাস্কের সমালোচনার উত্তর দিয়ে টুইট করেছেন টুইটারের প্রধান নির্বাহী পারাগ আগরাওয়াল। গত চার প্রান্তিকে প্ল্যাটফর্মটিতে স্প্যাম আকাউন্টের হার পাঁচ শতাংশের নিচে ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি।

স্প্যাম অ্যাকাউন্ট ছাড়াও টুইটারের কনটেন্ট মডারেশন নীতিমালাও পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মাস্ক। মালিকানা হাতবদল শেষে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রসঙ্গও তুলেছেন তিনি।

ভুয়া অ্যাকাউন্টের সঠিক সংখ্যা নিয়ে বিতর্কের অবসানের জন্য ভিন্ন প্রক্রিয়ায় হিসাব করার আহ্বান জানিয়েছেন মাস্ক।

অন্যদিকে স্বাধীন গবেষকদের ধারণা, টুইটারের নিয়মিত ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৯ থেকে ১৫ শতাংশ বট অ্যাকাউন্ট হতে পারে।

আসল পরিচয় ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে, বর্তমানে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই টুইটারে। ছদ্মনামে খোলা অ্যাকাউন্ট অথবা স্বয়ংক্রিয় বট অ্যাকাউন্ট পরিচালনার সুযোগও দেয় প্ল্যাটফর্মটি।

তবে, স্প্যাম প্রচার করে অথবা অন্য কোনো ব্যক্তিকে নকল করছে এমন অ্যাকাউন্টের বেলায় কঠোর অবস্থান নেয় টুইটার। অ্যাকাউন্টগুলো অন্যান্য ব্যবহারকারীদের ধোঁকা দিতে অথবা ভুল বোঝাতে ব্যবহৃত হচ্ছে, কৃত্রিমভাবে অ্যাকাউন্টের ট্রাফিক বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হচ্ছে, অথবা বিদ্বেষমূল বক্তব্য প্রচারে ব্যবহৃত হচ্ছে প্রমাণ পেলে অ্যাকাউন্টগুলো নিষিদ্ধ করে টুইটার।