জেলা শহরের
আশ্রমপাড়ায় মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
সদর থানার
ওসি তানভিরুল ইসলাম জানান, আশ্রমপাড়ায় সাড়ে চার শতক জমিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার নাজির হাওলাদারের বাড়ি
ছিল। পরে তার নাতি মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পী জমিটি আবু হানিফ নামে এক ব্যক্তির কাছে
বিক্রি করে দেন। কেনার পর পুরাতন বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ির কাজ শুরু করেন হানিফ। দুপুরে
মাটি খননের সময় পুঁতে রাখা স্টিলের ট্রাংকে শাবলের আঘাত লাগে।
ট্রাংকটিতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখতে পেয়ে হানিফ
পুলিশকে খবর দেন।
ওসি তানভিরুল
বলেন, “ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রাংকটি উদ্ধার করে ২৪টি থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল ও তিনটি এসএলআর
আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গেছে। তাছাড়া ট্রাংকে বিপুল পরিমাণ গুলি রয়েছে।”
অস্ত্রগুলো
মুক্তিযুদ্ধের সময়ের হতে পারে বলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হকের ভাষ্য।
তিনি বলেন,
“মুক্তিযুদ্ধের সময় অস্ত্রগুলো কেউ ট্রাংকের ভেতরে ঢুকিয়ে মাটির নিচে পুঁতে রাখতে পারে।”
ঠাকুরগাঁওয়ের
ডিসি মো. মাহবুবুর রহমান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন
করেছেন।
পুলিশ
সুপার বলেন, “অস্ত্রগুলো অনেক পুরনো। জং ধরে গেছে এবং কিছু ভেঙে গেছে।”
পুলিশ
ঘটনাস্থলটি ঘিরে রেখেছে। অস্ত্রের উৎস তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি তানভিরুল।