দক্ষিণ
আফ্রিকায় সাইমন হার্মার ও কেশভ মহারাজের স্পিনে দুই টেস্টেই শেষ ইনিংসে তালগোল পাকায়
বাংলাদেশ। কোনোবারই লড়াইয়ের মানসিকতা দেখাতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা।
অমন
ব্যর্থতার পর ব্যাটিং ইউনিটের আত্মবিশ্বাসে প্রবল চোট লাগা অস্বাভাবিক নয়। তবে শ্রীলঙ্কার
বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে এখন পর্যন্ত এর কোনো প্রতিফলন নেই। বরং বেশ আত্মবিশ্বাসীই
মনে হয়েছে তামিম ইকবাল, লিটন দাসদের।
দক্ষিণ
আফ্রিকায় ভরাডুবির পর দেশে ফিরে বেশির ভাগ ক্রিকেটার ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন ঢাকা প্রিমিয়ার
লিগ নিয়ে। টেস্ট শুরুর আগে কেবল সপ্তাহ খানেক সময় ছিল নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার।
তৃতীয়
দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে আসা ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স জানালেন,
এই সময়টায় খেলোয়াড়দের চাঙা করার কাজটাই বেশি করেছেন তারা।
“আমরা
স্রেফ ওদের আত্মবিশ্বাস ফেরানোর চেষ্টা করছিলাম। দক্ষিণ আফ্রিকায় ৫৩ ও ৮০ রানে গুটিয়ে
যাওয়া বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ার মতো একটা ব্যাপার। এরপরই খুব ভালো একটি বোলিং আক্রমণের
বিপক্ষে ওদের এগিয়ে আসতে হতো। গত দুই সপ্তাহের বাইরে ওদের সঙ্গে আমার খুব একটা কাজ
করার সুযোগ হয়নি। ছোট ছোট কিছু বিষয়ে কাজ করেছি… টেস্ট খেলতে যেমন ডিসিপ্লিন দরকার,
সেই বিষয়ে ওদের সঙ্গে কথা বলেছি। আর সেটাই তারা এখনও পর্যন্ত দেখিয়েছে।”
নিজেদের
মেলে ধরেই ৩ উইকেটে ৩১৮ রানে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। ১৩৩ রান করে ক্র্যাম্পের
জন্য মাঠ ছেড়েছেন তামিম ইকবাল। পঞ্চাশ ছুঁয়ে অপরাজিত মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। শ্রীলঙ্কার
রান ছাড়িয়ে যেতে তাদের প্রয়োজন কেবল ৮০ রান।
দুই
দিন মিলিয়ে ১০৭ ওভারের ৭২টিই করেছেন লঙ্কান স্পিনাররা। তাদেরকে একটিও উইকেট দেননি স্বাগতিকরা।
যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকায় নিজেদের আগের সিরিজেই কেশভ মহারাজ ও সাইমন হার্মারের স্পিন
সামলাতে খাবি খেয়েছিল তারা।
সিডন্স
বললেন, সেই সফর থেকেই শিক্ষা নিয়েই এই উন্নতি।
“দক্ষিণ
আফ্রিকায় আমরা ভুল করেছিলাম। উইকেটে সময় কাটাইনি এবং ওদের অনেক বল করার সুযোগ দিয়েছিলাম।
(চট্টগ্রামে) আমরা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম যে আজ তা করব না। এর নেতৃত্ব দিয়েছে তামিম
ও মুশফিক।”
“স্কোরবোর্ডে
একটা ভালো সংগ্রহ দাঁড় করানোর করার জন্য আমরা দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাটিংয়ে কথা ভেবেছিলাম।
টেস্ট ক্রিকেট কোনো রেস নয়। আজ ওরা যেভাবে বোলিং করেছে, দলগুলো তেমন সুশৃঙ্খলভাবেই
করে। প্রথম দুই দিন আমরাও তাই করেছি। ভালো একটা স্কোর গড়তে সময় লাগে। আমরা ছয় ঘণ্টা
ব্যাটিংয়ের কথা বলেছিলাম। তামিম সেই পথেই ছিল। মুশি ও লিটন তা করার পথেই আছে।”