সোমবার বিকালে গণভবনে
সৌজন্য সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর
প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিদের জানান, তথ্যচিত্রের রূপরেখা নিয়ে প্রতিনিধি দলের
সদস্যরা বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার সঙ্গে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, “প্রতিনিধি
দলের সদস্যরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের প্রশংসা করে
বলেন, ‘মনে হয় যেন শেখ মুজিব আছেন, আমরা অনুভব করি’।“
“গৌতম ঘোষ বঙ্গবন্ধুর
উপর তথ্যচিত্র নির্মাণ করতে পারার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।“
প্রেস সচিব বলেন,
“জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা
একটি বিশাল ইতিহাস বলেও উল্লেখ করেছেন গৌতম ঘোষ।“
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
ও শেখ রেহানা বঙ্গবন্ধুর কলকাতার দিনগুলো সম্পর্কে পরিচালক গৌতম ঘোষকে কিছু তথ্য দেন
এবং বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন সম্পর্কে তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন বলে জানান ইহসানুল
করিম।
‘ক্যামেরাটা যেন বঙ্গবন্ধু, ঘুরে বেড়াচ্ছেন, বক্তৃতা দিচ্ছেন’
তিনি বলেন, পরে শেখ
হাসিনা ও শেখ রেহানা এ তথ্যচিত্রের জন্য বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন এবং কলকাতায় তার
রাজনীতির যে শুরু হয়েছিল এবং সেখানেও তার সংগ্রামের ইতিহাস সম্পর্কে সাক্ষাৎকার দেন।
বঙ্গবন্ধুর
কলকাতা পর্বের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে ‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’ নামের এ তথ্যচিত্র নির্মাণ
করছেন পরিচালক গৌতম ঘোষ।
শুক্রবার ঢাকায় সংবাদ
সম্মেলনে তিনি জানিয়েছিলেন, জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’
ও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন লেখার উপর ভিত্তি করে এ তথ্যচিত্রের
স্ক্রিপ্ট তৈরি করা হয়েছে।
বিভিন্ন পত্রপত্রিকা,
বইপত্র এবং ভারত-বাংলাদেশের বিভিন্ন আর্কাইভ থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
গত ৪ এপ্রিল বঙ্গবন্ধুর
স্মৃতি বিজড়িত কলকাতার মৌলানা আজাদ কলেজ (যেটি আগে ইসলামিয়া কলেজ নামে পরিচিত ছিল)
সেখানে ৩০ মিনিটের এ তথ্যচিত্র নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়; যা জুনের মধ্যে শেষ
করার লক্ষ্য রয়েছে।