জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের
রান ৩ উইকেটে ৩১৮। শ্রীলঙ্কার চেয়ে এখনও ৭৯ রানে পিছিয়ে মুমিনুল হকের দল।
বিনা উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা বাংলাদেশ মঙ্গলবার ৮৮
ওভারে যোগ করে ২৪২ রান। এক সময়ে রান রেট চারের উপরে থাকলেও সেটা নেমে এসেছে তিনের
একটু নিচে।
উইকেটে এখনও বোলারদের জন্য তেমন কিছু নেই। আউট করা কঠিন হলেও
একটা জায়গায় বোলিং করে গেলে রানের গতি ঠিকই কমিয়ে রাখা যায়। প্রথম দুই দিন সেটা দেখা
গেছে সাকিব আল হাসানের বোলিংয়ে। লঙ্কান স্পিনাররাও তা দেখাচ্ছেন।
তাদের আঁটসাঁট বোলিংয়ের মধ্যেই পঞ্চাশ ছুঁয়ে অপরাজিত মুশফিকুর
রহিম ও লিটন দাস। ক্র্যাম্পের জন্য চা-বিরতির পর আর মাঠে নামেননি সেঞ্চুরিয়ান তামিম
ইকবাল। ব্যাটিংয়ে অপেক্ষায় সাকিব। দ্রুত রান তোলার সামর্থ্য তাই বাংলাদেশের আছেই।
সব মিলিয়ে একটু এগিয়েই বাংলাদেশ। তবে দিন শেষে ম্যাচ সমতাতেই
দেখছেন শ্রীলঙ্কার কোচ সিলভারউড। দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মলনে এসে তিনি জানিয়েছেন,
ম্যাচের এই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ পরবর্তীতে কী পদক্ষেপ নেয় তা দেখতে উন্মুখ তিনি।
“আমার
মনে হয়, এটা খুব ভারসাম্যপূর্ণ একটা ম্যাচ। আমি মনে করি, কালকের সকালের সেশনটা হবে
গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ কীভাবে খেলে এটা বেশ কৌতুহল জাগানিয়া। এখন রান রেট যা আছে,
সেভাবেই যদি এগোতে থাকে তাহলে লাঞ্চের সময় ওদের রান আমাদের আশেপাশেই থাকবে।”
তিন দিনে উইকেট পড়েছে কেবল ১৩টি। খুব নাটকীয় কিছু না হলে বাকি
দুই দিনে ২৭ উইকেট পড়া বেশ কঠিন। ম্যাচ না হারার মতো একটা জায়গায় গিয়ে শ্রীলঙ্কাকে
চেপে ধরার বাস্তবিক সুযোগ আছে বাংলাদেশের। সেটা নিতে দ্রুত রান তুলতে হবে তাদের।
তাদের এই পরকিল্পনা না বোঝার কোনো কারণ নেই ইংল্যান্ডের
সাবেক কোচ সিলভারউডের। তিনি জানিয়ে দিলেন, ব্যাটসম্যানদের বেঁধে রাখার পরিকল্পনা
নিয়েই নামবেন তারা।
“লাঞ্চের
পর ম্যাচে বাকি থাকবে আর পাঁচ সেশন। তাই ওরা কীভাবে খেলে সেটা দেখা হবে কৌতুহল জাগানিয়া।
আমরা রান বেঁধে রাখার চেষ্টা করব। তবে আমরা জানি, ওদের কয়েকজন খুব ভালো খেলোয়াড় আছে
যারা রানের গতি বাড়িয়ে নিতে পারে।”