ক্যাটাগরি

মেক্সিকোয় নিখোঁজ লাখো মানুষ

বিবিসি জানায়, সরকারি ওই পরিসংখ্যানে ১৯৬৪ সাল থেকে তথ্য দেওয়া হয়েছে। তবে নিখোঁজের প্রায় সবগুলো ঘটনা ২০০৭ সালের থেকে ঘটেছে।

ওই সময় মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ছিলেন ফেলিপে ক্যালডেরন। যিনি ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ ঘোষণা করেছিলেন।

এভাবে লাখো মানুষের নিখোঁজ হয়ে যাওয়াকে জাতিসংঘ ‘বড় আকারে মানবিক বিপর্যয়’ বলে ঘোষণা করেছে।

নিখোঁজদের অধিকাংশই বিভিন্ন সংগঠিত অপরাধী চক্রের শিকার হয়েছে। এবং দায়ীর এজন্য সাজা হওয়ার ঘটনা  বিরল।

দেশজুড়ে যত মানুষের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের হয় তার একটি হিসাব থাকে মেক্সিকোর অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে। সেখানে দেখা গেছে, গত দুই বছরে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সংখ্যা ৭৩ হাজার থেকে ছাড়িয়ে এক লাখের বেশি হয়ে গেছে।

নিখোঁজদের তিনচতুর্থাংশই পুরুষ এবং প্রতি পাঁচজনে একজনের বয়স নিখোঁজ হওয়ার সময় ১৮ বছরের নিচে ছিল।

ওইসব ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে সরকার থেকে যথেষ্ট উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের।

যে কারণে কেউ কেউ হতাশ হয়ে প্রিয় মানুষদের খুঁজে বের করতে নিজেরাই উদ্যোগী হয়েছেন এবং অজ্ঞাত কবর খুঁড়ে সেখানে প্রিয় মানুষদের ব্যবহৃত জিনিস হাতড়ে বেড়াচ্ছেন।

মেক্সিকোতে ১০ মে ‘মা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। এ বছর ওই দিন শত শত নারী সড়কে নেমে কর্ত‍ৃপক্ষের কাছে নিখোঁজদের খুঁজে বের করতে এবং দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে মিছিল করেন।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, নিখোঁজ এই এক লাখের বেশি জনের মধ্যে মাত্র ৩৫টি ঘটনায় বিচার হয়েছে এবং দোষীরা সাজা পেয়েছেন।

মুভমেন্ট ফর আওয়ার ডিসয়াপিয়ারেন্স নামের মানবাধিকার সংগঠন বলেছে, নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। এই রকম ঘটনার উদ্বেগ প্রকাশ করে সংগঠনটি বলেছে, সংকট মোকাবেলায় কার্যকরি ও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকে।

গত এপ্রিলে জাতিসংঘের একটি কমিটি মেক্সিকোয় গুমের বিষয়ে

হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিল, দেশটিতে নিখোঁজ মানুষের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে

যাচ্ছে। অপরাধী চক্র এই নিখোঁজের ঘটনার সঙ্গে জড়িত।