আগামী ৮ জুনের এশিয়ান কাপের বাছাই সামনে রেখে বুধবার কিংস অ্যারেনায়
দ্বিতীয় দিনের অনুশীলন সেরেছে বাংলাদেশ। প্রস্তুতি শেষে কথা বলেন অভিজ্ঞ গোলরক্ষক আশরাফুল
ইসলাম রানা ও তরুণ ডিফেন্ডার রহমত।
মালয়েশিয়ার কুয়ালা লামপুরে শুরু হবে এশিয়ান কাপের বাছাই। এর আগে
ইন্দোনেশিয়ায় একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে দল। বাছাই ও প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য ২১ জনকে
নিয়ে বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারবেরা। এদের মধ্যে বাফুফে এলিট একাডেমির গোলরক্ষক
আসিফ হোসেনকে রাখা হয়েছে শুধুমাত্র জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলনের সুযোগ করে দিতে।

ক্যাম্পে সুযোগ পেয়েছেন চার গোলরক্ষক-রানা, শহীদুল আলম সোহেল, মোহাম্মদ
নাঈম ও আসিফ। শহীদুল চোটের কারণে নেই। জাতীয় দলের নিয়মিত গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো
কিংসের হয়ে এখন কলকাতায়। নিকট অতীতে পাঁচ জন গোলরক্ষক ক্যাম্পে দেখা যায়নি একসঙ্গে।
রানার মনে হচ্ছে, হাতে সময় থাকায় কোচ পরখ করে নিতেই এত গোলরক্ষক রেখেছেন।
“যেহেতু ইন্দোনেশিয়া ম্যাচের আগে অনেক সময় আছে, সেহেতু সবাইকে দেখার
একটা সুযোগও এটা। সোহেলকে মিস করছি, জিকো নাই (এএফসি কাপ নিয়ে ব্যস্ত) …আমার মনে হয়,
এখানে যারা কোচের দৃষ্টিতে ভালো করবে, তাদের সবারই সুযোগ আছে। আসিফের মেধা আছে, ওর
যখন ১৪-১৫ বছর বয়স, তখন শেখ রাসেলে আমার সঙ্গে ছিল। এরপর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ হয়ে এলিট
একাডেমিতে গিয়েছে। ওর মেধা আছে, হয়ত জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলনে সুযোগ করে দিতেই ওকে
রাখা হয়েছে।”
“দুই দিনে ভালো সেশন হয়েছে। পুরো স্কোয়াড নেই। তবে কোচের যে পরিকল্পনা,
সে অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করেছি। সবশেষ সেশনে বিল্ড আপ, আর প্রতিপক্ষ যখন প্রেস করে,
তখন সেটা সামলে কিভাবে আমরা আক্রমণে উঠতে পারি, এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করেছি আমরা।”
গত মার্চে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র ম্যাচে ছিলেন না রহমত।
কাবরেরার অধীনে এই প্রথম অনুশীলন করছেন তিনি। ২২ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডারের বিশ্বাস,
কিংসের খেলোয়াড়দের মধ্যে যারা জাতীয় দলে নিয়মিত, তাদের চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো খেলোয়াড়
আছে বর্তমান ক্যাম্পে।

“অবশ্যই (কিংসের খেলোয়াড়দের বিট করার খেলোয়াড় আছে) , লিগে যারা ভালো
করেছে, তারাই এখানে আছে। জাতীয় দলে যে ২৩ জন যাবে বা ৩০ জনের যে স্কোয়াড আছে, খেলোয়াড়দের
মান ১৯-২০। হয়ত কেউ মানের দিক থেকে একটু ভালো।”
“বসুন্ধরা কিংসে জাতীয় দলের যারা আছে এবং এই ক্যাম্পে যারা আছে,
আমার মনে হয় সবারই জাতীয় দলে খেলার সুযোগ আছে, সেরা একাদশে খেলার যোগ্যতা আছে। আর কৌশলগত
দিক থেকে কোচ যেদিন যাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে, তাকে সুযোগ দিবে। সবার এখানে সুযোগ
নিজেদেরকে মেলে ধরার।”