অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) ফাহিমা কাদের চৌধুরী জানান, সদর থানার সামনে বুধবার বিকাল ৪টার দিকে ওই চেয়ারম্যানের শ্বশুরবাড়িতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ সময় তার স্ত্রী গুরুতর আহত হন।
নিহত রাফসান (১০) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বয়াতীর ছোট ছেলে। মিজানুর ঢেউখালি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ।
স্থানীয়রা জানান, চেয়ারম্যানের স্ত্রী দিলজাহান দুপুরের খাবার খেয়ে ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় হামলাকারীরা বাসায় ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মা-ছেলেকে এলোপাথারি কুপিয়ে চলে যায়। পরে প্রতিবেশীরা দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক রাফসানকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ওমর ফয়সাল বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই রাফসানের মৃত্যু হয়েছে। দিলজাহানের অবস্থা গুরতর হওয়ায় তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সম্প্রতি একটি বিয়ে বিচ্ছেদের সালিশের সিদ্ধান্ত নিয়ে চেয়ারম্যানের উপর একটি পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়। এর জেরেই এটি ঘটে থাকতে পারে বলে পুলিশের ভাষ্য।
এদিকে এরশাদ মোল্লা নামের এক ব্যক্তি বুধবার সন্ধ্যায় সদরপুর বাজারের মোবাইল টাওয়ারের উপর থেকে ‘লাফ দিয়ে আত্নহত্যা’ করেছেন, যিনি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ ছাড়া এরশাদের ভাই ইমরান মোল্লাকে জনতা ধরে পিটুনি দিয়েছে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা বলেন, “গ্রামের সালিশে সিদ্ধান্ত নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের উপর একটি পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়। তাদের মধ্যে এরশাদ মোল্লাও রয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে এরশাদ যুক্ত ছিল। সন্ধ্যার দিকে সে একটি মোবাইল টাওয়ারের উপর থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে।”
সদরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের দুই ছেলে। আল রাফসান তার ছোট ছেলে। রাফসান স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।