ইংল্যান্ডের
সাবেক অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার পল কলিংউডকে পেছনে ফেলে ওয়েন মর্গ্যান-জস বাটলারদের কোচ
হলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই ক্রিকেটার। ক্যারিবিয়ানে সবশেষ সিরিজে ইংল্যান্ডের কোচ
ছিলেন কলিংউড।
২০১৫
সালে কোচ হওয়ার পর সাত বছরে অস্ট্রেলিয়ার নারী দলকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যান মট। নিউ
জিল্যান্ডে কিছু দিন আগে হয়ে যাওয়া নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে শিরোপা জেতে তার দল। তার
কোচিংয়ে জেতে টানা চারটি অ্যাশেজ। ২০১৮ ও ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপাও
জেতে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ানডেতে তাদের টানা ২৬ জয় পুরুষ ও নারী ক্রিকেট মিলিয়েই সর্বোচ্চ।
৪৮
বছর বয়সী মট যেখানে গিয়েছেন সেখানেই সাফল্য পেয়েছেন। আর এটাই ইংল্যান্ডের কোচ নির্বাচন
প্যানেলকে প্রভাবিত করেছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী মাসে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ওয়ানডে
সিরিজ দিয়ে কাজ শুরু করবেন তিনি।
ইংল্যান্ডের
টেস্ট কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের মতো মটেরও চুক্তির মেয়াদ চার বছর।
জয়ের
মধ্যে থাকা একটি দলের উঁচু মান ধরে রাখার অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ মট। তার এই অভিজ্ঞতা কাজে
লাগাতে চায় সম্প্রতি দুই সংস্করণেই শীর্ষস্থান হারানো ইংল্যান্ড। মর্গ্যানের নেতৃত্বাধীন
দলটি এখনও সীমিত ওভারের ক্রিকেটের দুই সংস্করণেই বিশ্বের সেরা দলগুলোর একটি। চলতি
বছরের শেষ দিকে তারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবে। গত বছর এই টুর্নামেন্টের সেমি-ফাইনালে
হেরেছিল তারা।
২০২৩
সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলবে শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে। এসব অভিযানে নিজের মতো করে
সহায়তা করতে চান মট।
“ইংল্যান্ডের
সাদা বলের কোচ হিসেবে কাজের সুযোগ পেয়ে আমি ভীষণ খুশি। যদিও আমি একজন অস্ট্রেলিয়ান,
তবে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমার দারুণ যোগাযোগ আছে। আমার অনেক ঘনিষ্ট বন্ধুই এখানকার।
খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও ইংল্যান্ডে অনেক সময় কাটিয়েছি।”
মট
জানালেন, সাদা বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডকে সাফল্যের পথে নিয়ে যাওয়া অধিনায়ক মর্গ্যানের
সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন তিনি। ৭ বছর কাটানোর পর অস্ট্রেলিয়ার নারী দলকে
ছেড়ে আসতে খারাপই লাগছে মটের। তবে তিনি মনে করেন, ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি
দলকে সাহায্য করতে তার জন্য এটাই সেরা সময়।
২০১৫
সালে অস্ট্রেলিয়া নারী দলের কোচ হওয়ার আগে নিউ সাউথ ওয়েলসের সঙ্গে ছিলেন মট। তার কোচিংয়ে
দলটি ২০০৯ সালে জিতেছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। এরপর গ্ল্যামরগনের
কোচ হিসেবে কাজ করেন তিনি, যারা ২০১৩ সালে ইয়র্কশায়ার ব্যাংক ৪০ এর ফাইনালে উঠেছিল।
২০১৫ সালে ছেলেদের বিশ্বকাপে ছিলেন আয়ারল্যান্ডের কনসালটেন্ট। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে আইপিএলে
কলকাতা নাইট রাইডার্সের কনসালটেন্ট ছিলেন তিনি। সে সময় দলটিতে খেলোয়াড় হিসেবে ছিলেন
ম্যাককালাম।
ইংল্যান্ডের
ক্রিকেটে চলমান পরিবর্তনের ধারায় সবশেষ সংযোজন মট। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে জো রুটের
জায়গায় এসেছেন বেন স্টোকস। টেস্ট দলের কোচ হয়েছেন ম্যাককালাম।