মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ওই মার্কেটের একটি কাপড়ের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত
হয়। অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর আটটি ইউনিট প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বলে ফায়ার সার্ভিসের
উপসহকারী পরিচালক (বরগুনা ও পটুয়াখালী) মো. জাকির হোসেন জানান।
আবদুল মান্নান নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, “কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুন ছড়িয়ে
পড়ে। আমার ইলেকট্রনিক্সের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।”
এই মর্কেটে মোবাইল, ইলেকট্রনিক্স, জাল, প্রসাধনী, পোশাক, কামারশালা, সেলুন,
চায়ের দোকান, ওষুধের দোকান তিন শতাধিক দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল জানিয়ে তিনি বলেন,
“আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই অন্তত দেড়শ দোকান পুড়ে গেছে।”
মার্কেটের একটি কাপড়ের দোকানের বিক্রেতা নাঈম বলেন, “আমাদের দোকানে ১০
লাখ টাকার কাপড় ছিল। সব পুড়ে গেছে।”
অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পরিমাণ ৬০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে
বলে বরগুনা পৌরসভার মেয়র কামরুল আহসান মহারাজের ধারণা।
তবে ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি ফায়ার সার্ভিসের
কর্মকর্তা জাকির হোসেন। তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের কারণ এবং ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ
করছে তাদের তদন্ত দল।
বরগুনার সদর থানার ওসি আলী আহম্মেদ জানান, মার্কেটে আগুন লাগার পর স্থানীয়
বাসিন্দা এবং স্বেচ্ছাসেবীরাই প্রথমে এগিয়ে আসেন। এ সময় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন, তাদের
প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।