গত
অ্যাশেজে ভরাডুবির পর দল পুনর্গঠন করে সামনে তাকানোর কথা বলে বাদ দেওয়া হয়েছিল দুই
অভিজ্ঞ পেসার অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রডকে। যদিও অ্যাশেজে তিনটি করে টেস্ট খেলে
দুজনের কারও পারফরম্যান্সই খারাপ ছিল না। তবে তাদের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া
হয়েছিল মূলত বয়স আর ভবিষ্যৎ ভাবনা।
১
হাজার ১৭৭ উইকেট শিকারি দুই বোলারকে বাইরে রাখায় ইংলিশ ক্রিকেট মহলে দেখা যায় প্রবল
প্রতিক্রিয়া। অ্যান্ডারসন ও ব্রড তাদের বিস্ময় ও অসন্তুষ্টির কথা জানান
প্রকাশ্যেই।
লেস্টারে
সাংবাদিকদের সামনে অ্যান্ডারসন তুলে ধরলেন, বাদ পড়ার পর কেমন হয়েছিল তার মনের অবস্থা।
“(বাদ পড়ার পর) অবশ্যই আমি নিজেকে প্রশ্ন করেছিলাম। আমি নিজেকে জিজ্ঞেস
করলাম, ‘আমি কি খেলা চালিয়ে যেতে চাই?” এরকম কিছু ঘটলে অন্যান্য বিষয় নিয়ে নিজের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।”
অনেক
চিন্তার পর নিজেই উত্তর খুঁজে পান টেস্টে ৬৪০ উইকেট নেওয়া ৩৯ বছর বয়সী এই পেসার।
“ওই ঘটনার পর যত বেশি সময় কাটতে থাকে, ততই আমি আরও
বেশি করে খেলতে চাচ্ছিলাম। আমার পরিবারের সঙ্গে এটি নিয়ে আমি কথা বলেছি। তাদেরও
একই মত… ল্যাঙ্কাশায়ার বা ইংল্যান্ড যেখানেই হোক না কেন, খেলাটিকে
দেওয়ার জন্য আমার এখনও অনেক কিছু আছে।”
অ্যান্ডারসনের
বাদ পড়ায় অনেকে তখনকার অধিনায়ক জো রুটের সম্পৃক্ততা খুঁজতে শুরু করেছিল। দুজনের
সম্পর্কে ভাঙন ধরেছে বলেও গুঞ্জন ছড়ায়। তবে অ্যান্ডারসন বললেন, তাদের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই।
“সে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার আগে আমি তার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তাই আমাদের
দুজনের মধ্যে এখনও অনেক শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে এবং কোনো শত্রুতা নেই।”
ওয়েস্ট
ইন্ডিজে সিরিজ হারের পর দেশে ফিরে সমালোচনার মধ্যে টেস্ট নেতৃত্ব ছাড়েন
রুট। ইংল্যান্ডের নতুন টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস নেতৃত্ব পেয়েই বলেন, অ্যান্ডারসন ও ব্রডকে দলে ফেরত চান তিনি। তার সঙ্গে একমত হন নতুন
ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবার্ট কি।
সেই
ধারাবাহিকতায় নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই টেস্টের জন্য বুধবার ঘোষিত দলে
ফেরানো হয়েছে অ্যান্ডারসন ও ব্রডকে।