বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় প্রতি টন ১ হাজার ১৭৭ ডলারে এই সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জিল্লুর রহমান চৌধুরী সভাশেষে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের কারণে দাম আগের থেকে কিছু বেড়েছে। আগে প্রতি টনের দর ছিল ১ হাজার ১৫৬ ডলার।”
তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের নির্দেশনা অনুযায়ী, এই সার কেনার ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের বিনিময়র হার ৮৭ টাকার কিছু বেশি ধরা হয়েছে।
এই হিসাবে মরক্কোর রাষ্ট্রীয়-মালিকানাধীন ওসিপি গ্রুপ থেকে মোট ৪০৭ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় এ সার আমদানি করবে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে দেশে ৫৭ লাখ মেট্রিক টনের বেশি রাসায়নিক সারের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ২৬ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া, সাড়ে সাত লাখ মেট্রিক টন টিএসপি, সাড়ে সাত লাখ মেট্রিক টন এমওপি এবং সাড়ে ১৬ লাখ মেট্রিক টন ডিএপি।
দেশের কিছু ইউরিয়া উৎপাদিত হলেও অন্যান্য সারের বেশিরভাগটাই আমদানি করতে হয়। এর একটি অংশ আসত রাশিয়া, বেলারুশ ও ইউক্রেইন থেকে।
ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে এখন সেখান থেকে সার পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই সরকার অন্যান্য উৎস থেকে সার পাওয়ার চেষ্টা করছে।
গত বছরের তুলনায় সারের দাম কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় সরকারের ভর্তুকিও বেড়ে গেছে। গত কয়েক বছর ধরে ৯ হাজার কোটি টাকা করে সারে ভর্তুকি দিয়ে এলেও চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হতে পারে বলে গত জানুয়ারিতে আভাস দিয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রতি কেজি ইউরিয়া আমদানিতে ব্যয় হয় ৯৬ টাকা, টিএসপি ৭০ টাকা, এমওপি ৫৪ টাকা ও ডিএপিতে খরচ হয় ৯৩ টাকা।
২০২০-২১ অর্থবছরে প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের আমদানি মূল্য ছিল ৩২ টাকা, টিএসপি ৩৩ টাকা, এমওপি ২৩ টাকা, ডিএপি ৩৭ টাকা।