শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনে ধৈর্যশীল এক সেঞ্চুরি করেন মুশফিক। ২৭০ বলে স্পর্শ করেন সেঞ্চুরি, তার টেস্ট ক্যারিয়ারের যা সবচেয়ে ধীরগতির। পরে তিনি আউট হন ২৮২ বলে ১০৫ রান করে।
টেস্টে তিনি সেঞ্চুরি করলেন ১৮ ইনিংস পর।
মুশফিকের সেঞ্চুরির পরপরই ইনস্টগ্রামে মুশফিকের সেঞ্চুরি উদযাপনের একটি ছবি দিয়ে তার স্ত্রী লিখেন, “আমরা হাসিমুখেই বিদায় নিবো ইনশাল্লাহ, তবে আপনাদের রিপ্লেসমেন্ট আছে তো? সেদিকেও একটু নজর দিলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়ন হতো।”
মুশফিকের স্ত্রীর এই পোস্ট জন্ম দেয় অনেক জল্পনার। তিনি কি তবে ক্রিকেট ছেড়ে দেবেন কিনা বা কোনো একটি সংস্করণ? চতুর্থ দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক নিজেই খোলাসা করলেন তার ভাবনা।
“প্রথমত, আমি তো দেখিনি কী লিখেছে (হাসি)… এখন দেখলে তার পর বোঝা যাবে কী বলতে পারব বা ও কেন লিখেছে।”
“না ভাই, আমার আপাতত এমন কোনো ভাবনা নেই। আমার ইচ্ছে, বাংলাদেশের হয়ে যতগুলো ম্যাচে সুযোগ আসবে আমার কাছে, সবগুলো ম্যাচ খেলার। যারা যেভাবে চাইবেন, আমি চেষ্টা করে যাব ফিটনেস ও পারফরম্যান্স দিয়ে সেটা করে দেখানোর।”
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে পারফরম্যান্সের ঘাটতি আর সংবাদ সম্মেলনে করা নানা মন্তব্য নিয়ে বেশ সমালোচনার মধ্যে ছিলেন মুশফিক। গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে লাঞ্চের চার মিনিট আগে রিভার্স সুইপ খেলে বোল্ড হয়ে দলের বিপদ ডেকে আনেন তিনি। এরপরও প্রবল সমালোচনা হয় তার।
কিছুদিন আগে সিনিয়র ক্রিকেটারদের নিয়ে বোর্ড সভাপতির কথায়ও মুশফিকের কথা উঠে আসে একটু।
“অলরেডি তো রিয়াদ টেস্ট থেকে সরে আসছে, তামিম টি-টোয়েন্টি খেলছে না। মুশফিক এখনও খেলছে, তবে ওর চিন্তা-ভাবনাও জানা যাবে। আর আছে সাকিব… সাকিবের ব্যাপারটা আবার এদের কারও সঙ্গে মেলে না। সাকিবের ব্যাপারটা বলাটা কঠিন। সব সংস্করণে সবাই ওকে চায়, কিন্তু ওকে পাওয়াটা কঠিন। আমরা আসলে নিজেরাই জানি না, ও কোনটা খেলবে কোনটা খেলবে না। ওর সাথে আমি যখন কথা বলি, তখন মনে হয় ও সবগুলোই খেলতে চায়। কিন্তু আবার যখন খেলা আসে, তখন দেখা যায় ওর সমস্যা। কিছু না কিছু সমস্যা থাকে, এটা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।”
‘মুশফিকের চিন্তা-ভাবনাও জানা যাবে’-এই কথা থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে ও কিছু সংবাদমাধ্যমে খবর হতে থাকে, কোনো একটি সংস্করণ থেকে বিদায় নেওয়ার চাপ আছে মুশফিকের ওপর। তার স্ত্রীর লেখার লক্ষ্য হতে পারে সেসবই।