নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন এক শোক বার্তায় বলেন,
“বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী সময়ে সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনার ধারক আবদুল গাফফার চৌধুরী আমৃত্যু যুক্তরাজ্যে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকতে বাধ্য হন।
“সেখান থেকে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী ও একাত্তরের পরাজিত শক্তির পুনরূত্থানের বিরুদ্ধে কলম যুদ্ধ চালিয়ে যান।”
বিবৃতিতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনায় প্রাণিত আবদুল গাফফার চৌধুরী ছিলেন বাংলা ও বাঙালির শুদ্ধতম বাতিঘর। তার মৃত্যুতে বিশ্ব বিবেক ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হলো।
শোক বার্তায় প্রয়াতের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।
পৃথক শোক বার্তায় চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, “একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর সরকারের
মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা সাপ্তাহিক ‘জয়বাংলা’র প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের ওপর গাফফার চৌধুরী ‘পলাশী থেকে ধানমণ্ডি’ নামে একটি চলচ্চিত্র তৈরি করেছেন।”
আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে যে শূন্যস্থান সৃষ্টি হলো তা অপূরণীয় বলে মন্তব্য করেন উপমন্ত্রী নওফেল।
বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও একুশে পদকপ্রাপ্ত আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী।