ক্যাটাগরি

জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় সময়ে আছি: কোহলি

২০১৯ সালের নভেম্বরের পর থেকে কোনো ধরনের ক্রিকেটেই
সেঞ্চুরি নেই কোহলির। বড় ইনিংস বহু দূরের পথ, এবারের আইপিএলে রান করতেই ধুঁকছেন রয়্যাল
চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের এই ব্যাটসম্যান।

আইপিএলের অভিষেকের বছর ২০০৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কেবল
তিনবার গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ পেয়েছিলেন তিনি। সেখানে চলতি আসরেই প্রথম বলে আউট
হওয়ার অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে তার আরও তিনবার।

গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে বৃহস্পতিবারের ম্যাচের আগ
পর্যন্ত আসরে ১৩ ম্যাচে ১১৩.৪৬ স্ট্রাইক রেটে তার রান ২৩৬। গড় স্রেফ ১৯.৬৭, ফিফটি করতে
পেরেছেন একটি, যেটি দলের কাজে আসেনি।

রানের খোঁজে থাকা কোহলিকে স্বরূপে ফিরতে ভারতের সাবেক কোচ
রবি শাস্ত্রী, ইংল্যান্ডের সাবেক ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসেন পরামর্শ দিয়েছেন লম্বা
সময়ের জন্য বিশ্রাম নিতে।

স্টার স্পোর্টসে বৃহস্পতিবার সম্প্রচারিত সাক্ষাৎকারে
কোহলি কথা বলেন অনেক বিষয় নিয়ে। নিজের ফর্ম প্রসঙ্গে বলেন, ক্যারিয়ারের এই
পর্যায়ে এসে মাঠে কী হচ্ছে, তা নিয়ে খুব বেশি ভাবার অবকাশ
খুঁজে পান না তিনি। খেলাটাকে উপভোগ করাটাই তার কাছে মুখ্য।

“আমি আসলে আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দময়
সময়ে আছি। মাঠে যা করছি, তার বিচারে নিজেকে মূল্যায়ন করছি
না। সেই পর্যায় পার করে এসেছি। এখন আমার ক্যারিয়ারের বিবর্তনের সময়। বলছি না যে
আমার মধ্যে সেই তাড়না নেই, এটা কখনও কমার নয়। তাড়নাটা যখন
থাকবে না, তখন আমি আর খেলব না।”

“কিন্তু এটাও বুঝতে পারছি যে, কিছু ব্যাপার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আমি যেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি ও যা নিয়ে
কাজ করতে পারি তা হলো, মাঠে ও ব্যক্তিগত জীবনে কঠোর পরিশ্রম
করা। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমি অনুভব করছি যে, এখন জীবনের
সবচেয়ে বেশি ভারসাম্যপূর্ণ জায়গায় আছি। আমি এখন যেমন আছি এবং যেভাবে আমার জীবন
কাটাচ্ছি, তা নিয়ে খুশি।”

নিজের পারফরম্যান্সের চেয়ে দলের জন্য অবদান রাখতে না
পারাটা বেশি পীড়া দিচ্ছে কোহলিকে।

“মাঠে যা ঘটছে তাতে আমি আনন্দ বা হতাশার
কোনো উৎস খুঁজে পাচ্ছি না। কারণ এটা শুধু নিজেকে নিয়ে নয়, দলের
জন্য আমি যতটা চেয়েছিলাম ততটা অবদান রাখতে পারিনি। এটা এমন কিছু যা আমাকে সবসময়
হতাশ করে, নিজের পারফরম্যান্স নয়। কারণ আমি আমার দলকে নিরাশ
করতে চাই না।”

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে এই সংস্করণে ভারতের
নেতৃত্বকে বিদায় বলে দেন কোহলি। পরে তাকে ওয়ানডের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সাদা বলের
দুই সংস্করণেই রোহিত শর্মাকে করা হয় অধিনায়ক। গত জানুয়ারিতে হুট করেই টেস্টের
অধিনায়কত্বও ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি।

আইপিএলে বেঙ্গালোরের হয়ে খেলছেন তিনি ২০০৮ সাল থেকে। ২০১৩
সালে পান দলটির নেতৃত্ব। গত আসর শেষে ছাড়েন এর অধিনায়কত্ব।

লম্বা সময় ধরে অধিনায়ক হিসেবে খেলার পর নতুন ভূমিকায় খুব
একটা চ্যালেঞ্জ দেখছেন না কোহলি।

“সত্যি বলতে, এটা আলাদা।
আমি বলব না এটা কঠিন, কারণ এটা এমন কিছু যার সঙ্গে আমি
নিয়মিতভাবে জড়িয়ে আছি।”