জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ড্র হওয়া প্রথম টেস্টে কোনো উইকেট নিতে পারেননি শরিফুল ও খালেদ।
প্রথম ইনিংসে ২০ ওভারে ৫৫ রান দেন শরিফুল। ১৬ ওভারে ৬৬ রান দেন খালেদ। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ব্যাটে তার বলের স্পর্শ তিনি কিংবা কিপার লিটন দাস বুঝতে পারলে হয়তো একটি উইকেট মিলত। তবে ম্যাচে তিনিই ছিলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে খরুচে বোলার। প্রথম ইনিংসে দুই পেসার মিলে নেন কেবল চারটি মেডেন।
ব্যাটিংয়ের সময় হাতে চোট পাওয়ায় আর মাঠে নামেননি শরিফুল। লম্বা সময়ের জন্য ছিটকে গেছেন বাঁহাতি এই পেসার। আর খালেদ দ্বিতীয় ইনিংসেও হতাশ করেছেন। ৭ ওভারে ২ মেডেনসহ তিনি দিয়েছেন ৩৭ রান।
ঠিক লাইন ও লেংথে বোলিং করলে এই উইকেটে পেসারদেরও যথেষ্ট সুযোগ ছিল। সেটা দেখিয়েছেন লঙ্কান পেসাররা। বিশ্ব ফার্নান্দোর কনকাশন সাব হিসেবে সুযোগ পাওয়া কাসুন রাজিথা নিয়েছেন চার উইকেট। তিন উইকেট পেয়েছেন আরেক পেসার আসিথা ফার্নান্দো।
শরিফুল কিংবা খালেদ দুয়েকটি উইকেট বের করে নিতে পারলে খেলার চিত্রটা অন্যরকম হতে পারতো। চট্টগ্রাম টেস্ট শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল জানালেন, পেসারদের কাছ থেকে আরেকটু ভালো লেংথ আশা করেছিলেন তিনি।
“আমার কাছে মনে হয়, পেস বোলাররা আরেকটু ভালো বোলিং করতে পারতো। পেস বোলারদের কাছে আমাদের, আপনাদের সবারই প্রত্যাশা আরেকটু বেড়েছে। আমার মনে হয়, ওরা যদি প্রথম ইনিংসে আরেকটু ভালো বোলিং করতো (তাহলে খুব ভালো হতো)। দ্বিতীয় ইনিংসে শরিফুল ছিল না, খালেদ ছিল, সে আরেকটু ভালো বোলিং করতে পারলে, আরেকটু ভালো লেংথে বোলিং করতে পারলে আমার মনে হয়, ভালো হতো।”
দুই ইনিংস মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার ১৬ উইকেটের ১৫টি ভাগ করে নেন নাঈম, তাইজুল ও সাকিব। অন্যটি রান আউট। খুব একটা সহায়তা নেই এমন উইকেটে স্পিনারদের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু চাওয়ার নেই মুমিনুলের।
“স্পিনারদের জন্য এই পিচে উইকেট পাওয়াটা খুব কঠিন। আমার মনে হয়, স্পিনারদের ভেতর সাকিব ভাইয়ের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যদি প্রথম ইনিংস দেখেন, ওরা খুব ভালো অবস্থানে ছিল, রানের গতি বাড়িয়ে দিয়েছিল। সে সময় সাকিব ভাই, তাইজুল এসে সেটা থমকে দিয়েছিল। প্রথম ইনিংসে সাকিব ভাইয়ের কাজটা খুব ভালো ছিল। এবং দ্বিতীয় ইনিংসেও। আমার মনে হয়, এই ট্র্যাকে স্পিনাররা খুব ভালো বোলিং করেছে।”