বঙ্গবন্ধু
সেতুর পাশেই ৪.৮ কিলোমিটার দুই লাইনের রেল সেতুর ৫০টি পিয়ারের মধ্যে ২৯টির পাইলিংয়ের
কাজও প্রায় শেষের দিকে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক মাসুদুর রহমান।
প্রকল্প
পরিচালক বলেন, রাত-দিন কাজ চলছে। ২০২১ সালের মার্চে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে
একটি পিয়ার দৃশ্যমান হয়েছে। তাছাড়া আটটি পিয়ারের উপরিভাগে ঢালাইসহ ১১টির পাইলিংয়ের
কাজ শেষ পর্যায়ে। মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে ১০টি পিয়ারের পাইলিং কাজ।
কাজের
অগ্রগতি ৪০ শতাংশ জানিয়ে মাসুদুর বলেন, ২০২৪ সালের শেষের দিকে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ
হবে।
টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ সীমান্তে ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু
সেতু চালু হলে রাজধানীর সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ
শুরু হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। এতে
সময়ক্ষেপণসহ শিডিউল বিপর্যয়ে যাত্রীরা প্রায়ই ভোগান্তিতে পড়েন।
নতুন এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে
এর পরই
বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মাণের চিন্তা সামনে আসে। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর ১৬ হাজার ৭৮০
কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাপান
ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে জাইকা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। যমুনা নদীর দুই প্রান্তে
দুটি ভাগে চলছে নির্মাণকাজ। গত ২৯ এপ্রিল সেতুর ৪৮ নম্বর পিয়ারের প্রথম প্রি-হেড ঢালাইয়ের
কাজ শেষে নদীর তলদেশ থেকে উপর পর্যন্ত দৃশ্যমান হয় একটি পিয়ার।
পরিচালক
বলেন, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৩৮টি ট্রেন চলাচল করে। বঙ্গবন্ধু রেল সেতু চালু
হলে ডবল লাইনে ৬৮টি ট্রেন চলবে।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (এনইসি) সভায়
২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য দুই লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন
কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মাণ প্রকল্পে তিন হাজার
৮৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।